নিউজ ডেস্ক : শনিবার দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান এবং একটি অপারেশন শেষে প্রায় ২০ দিন পর দেশে পৌঁছানোর পর তাকে বিমানবন্দর থেকে তার বাসভবন গণভবন পর্যন্ত সংবর্ধনা দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়ে বিশ্বের প্রশংসা এবং একটি ছোট অপারেশন শেষে সুস্থ হয়ে ফিরে আসায় তাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রেরিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল (রা.)আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবেন। দলের সভাপতির এই গণসংবর্ধনাকে ঘিরে রাজধানীতে আরেকটি বড় ধরনের শোডাউন করতে চায় আওয়ামী লীগ।
এ লক্ষ্যে হযরত শাহজালাল (র.)আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করার প্রস্তুতি রয়েছে দলের মধ্যে। তার আগমন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই গণসংবর্ধনা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ব্যানার-ফেস্টুনসহ মনোরম সাজসজ্জা গড়ে তোলা হয়েছে। রাস্তাঘাট বর্ণিল পোস্টার ও ব্যানারে ছেঁয়ে গেছে।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, সার্ক ফোয়ারা, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মহাখালী হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে প্রধানমন্ত্রীর ছোটবড় ছবিসংবলিত সাধারণ ও ডিজিটাল ব্যানারে এবং পোস্টার শোভা পাচ্ছে।
দেশের মাটিতে পা দেয়ার পর বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সরকারি বাসভবন গণভবনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে তাকে বরণ করবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা। সেখানে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় অভ্যর্থনা জানানো হবে। আর গণভবন ফেরার পথে রাস্তার দুই পাশে ফুল ও বাদ্যযন্ত্র, রংবেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টার এবং স্লোগান দিয়ে সংবর্ধনা জানাবেন সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। গণভবনে উপস্থিত থেকেও তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবেন দলীয় নেতা ও শিল্পী-সাহিত্যিকরা।
এবারের জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জনকে স্মরণীয় রাখতেই তার এই গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ২১ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট ও বাংলাদেশের ওপর শরণার্থীদের চাপের বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। এ সমস্যা সমাধানে তিনি পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন, যা পুরো বিশ্বের সমর্থন এবং প্রশংসা আদায় করে। তার উদ্যোগেই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে তাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ আখ্যা দেয়া হয়েছে।
এই গণসংবর্ধনাকালে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কের দুই ধারে ১২টি স্পটে ব্যাপক লোক সমাবেশ করা হবে। আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল এবং সহযোগী-ভাতৃপ্রতীম ও সমমনা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকেও এই সংবর্ধনায় যুক্ত করা হবে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও আশপাশের জেলাগুলো থেকেও নেতাকর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে গণসংবর্ধনায় উপস্থিত করতে একাধিক প্রস্তুতি ও যৌথসভা করা হয়েছে। সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সহযোগী-ভাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলো ছাড়াও রাজধানীর আওয়ামী লীগ ও ১৪-দলীয় জোটের এমপিদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস