নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে তিন সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বিজি-০০২ ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে আওয়ামী লীগ বিমানবন্দর থেকেই গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে। তবে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাস্তার একপাশে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এই খবর নিশ্চিত করেছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে লন্ডনের স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২০ মিনিট) হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
এদিকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে তাদের প্রিয় নেত্রীকে অভিনন্দন জানাবেন। শনিবার সকাল থেকেই দলীয় কর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন হাতে বিমানবন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। এর আগে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বিলবোর্ড ও ব্যানার লাগানো হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ পরিষদের অধিবেশন যোগদান শেষে ২২ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন সফরে যান। ওয়াশিংটনে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর ২ অক্টোবর লন্ডন হয়ে তার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রীর গলব্লাডারে অস্ত্রোপচারের কারণে তার দেশে ফেরা বিলম্ব হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে শেখ হাসিনা সোমবার লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন।
রোহিঙ্গাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মানবিক আচরণের জন্য ব্রিটিশ পত্রপত্রিকা শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ আখ্যায়িত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক (খালিজ টাইমস) রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি মানবিক আবেদনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উচ্ছসিত প্রসংসা করে তাকে প্রাচ্যের নতুন তারকা হিসেবে অভিহিত করেছে।
এছাড়াও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও তাদের ফেরত নিতে তার দেওয়া পাঁচ দফা প্রস্তাব বিশ্ব নেতাদের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পায়। এসব কারণে আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস