বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:৪৪:০৬

দেশজুড়ে হার্ডলাইনে সরকার

দেশজুড়ে হার্ডলাইনে সরকার

নিউজ ডেস্ক : হঠাৎ করেই সারা দেশে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর এ ধরপাকড় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।

সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জামায়াতের আমীর, সেক্রেটারিসহ কেন্দ্রীয় ৮ নেতাকে। তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামে ২০ দলীয় জোটের শরিক লেবার দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে দলীয় একটি অনুষ্ঠান থেকে আটক করার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পৃথক কর্মসূচি থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ৩০ নেতাকর্মীকে আটকের কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিএনপি।

বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে গতকাল গ্রেপ্তার হয়েছেন দলটির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এছাড়া, বিভিন্ন জেলায় জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুমিল্লার আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সারা দেশে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।

এছাড়া, সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিক কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এসব কর্মসূচি ঘিরে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে দলীয় নেতাকর্মীদের। আটক জামায়াত নেতাদের নাশকতার দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে দলটি। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে প্রথম সারির নেতাদের গ্রেপ্তার, মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পর আমীর মকবুল আহমাদ ও সেক্রেটারি শফিকুর রহমান গ্রেপ্তার এড়িয়ে দল পরিচালনা করছিলেন। প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ না করায় অনেকটা গোপনেই তারা দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। আগামী নির্বাচন ঘিরে দলের প্রার্থী ঠিক করার কাজেও যুক্ত ছিলেন তারা। তাদের গ্রেপ্তারের পর দলটিতে নতুন নেতৃত্ব আসার জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন নেতাকর্মীদের দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতেই সারা দেশে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। জামায়াতের পক্ষ থেকেও একই অভিযোগ করা হয়েছে। দলটির নায়েবে আমীর মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার যে প্রক্রিয়া সরকার শুরু করেছে এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস বলেন, পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অধীনেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি কোনো বিশেষ অভিযান নয়। পুলিশের আইজি একেএম শহিদুল হক বিবিসিকে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং ওয়ারেন্ট আছে। তদন্তের পর প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে নতুন মামলাও হতে পারে।

জামায়াতের ৮ নেতা রিমান্ডে, বৃহস্পতিবার হরতাল : রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তারকৃত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির মকবুল আহমাদ, সেক্রেটারি শফিকুর রহমানসহ ৮ শীর্ষ নেতাকে দুই মামলায় মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গতকাল বিকালে কদমতলী থানার পরিদর্শক সাজু মিয়া তাদের ঢাকা মহানগর আদালতে হাজির করে পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২টি পুরনো মামলায় মোট ২০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী প্রত্যেক মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদ, সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির গোলাম পরওয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর আমির মো. শাহজাহান, সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির জাফর সাদিক, জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম ও ডা. শফিকুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল ইসলাম।

বাড়ির মালিক নওশের আলীকে রিমান্ড মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর তাদের আবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে নেতাদের গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডের প্রতিবাদে হরতাল ডেকেছে দলটি। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় দলটি।

এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৬ নম্বর সেক্টর ১১ নম্বর সড়ক ৩ নম্বর বাসায় তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ৭ নম্বর টিম। পরে ওই বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদসহ মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের ডিসি শেখ নাজমুল আলম সাংবাদিকদের জানান, জামায়াতের শীর্ষ নেতারা সারা দেশে নাশকতার জন্য উত্তরায় গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া মিয়ানমারেরর জঙ্গি সংগঠন আরসার সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাদের। রিমান্ডে এনে এ বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে তাদের গ্রেপ্তার করার পর তাদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০০৯ সালে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় জামায়াতের ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নেজামী ও আলী আহসান মুজাহিদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত আমীর হিসেবে মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে ডা. শফিকুর রহমান দায়িত্ব পালন করেছেন।

গতকাল দুপুরে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের ঢাকা মহানগর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রিজনভ্যানের পেছনে ও সামনে গাড়ির স্কর্ট ছিল। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবীর আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এসময় পুলিশ কদমতলী থানার দুই মামলায় তাদের ১০ দিন করে মোট ২০ দিন রিমান্ড প্রার্থনা করে। আদালতে পুলিশের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আবু আবদুল্লাহ।

তিনি আদালতকে বলেন, জামায়াত একটি অপরাধী সংগঠন। এই সংগঠনের অধিকাংশ নেতাদের আদালতের রায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে। দলটি বেকায়দায় রয়েছে। সরকার এবং সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিপদে ফেলার জন্য উত্তরা এলাকায় জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষ নেতারা বৈঠকে মিলিত হয়েছিল। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। দেশের শান্তি ও স্থিতিশীল অবস্থার জন্য তাদের রিমান্ড দেয়া হোক।

রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক আদালতকে বলেন, জামায়াত একটি বৈধ রাজনৈতিক দল। দেশের বিধি বধান অনুযায়ী জামায়াত তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত জামায়াতের সঙ্গে নাশকতার কেউ প্রমাণ দিতে পারেনি। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক আলাপচারিতার জন্য জামায়াতের শীর্ষ নেতারা উত্তরার একটি বাড়িতে বৈঠক করেছেন। পুলিশ অবৈধভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

তাদের নামে কোনো মামলায় কোনো ওয়ারেন্ট নেই। যে মামলায় তাদের রিমান্ড আবেদন করা হচ্ছে, এটি একটি মিথ্যা মামলা। তিনি রিমান্ডের বিরোধিতা করে আটককৃতদের জামিন দাবি করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ২ মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ডিবি পুলিশের একটি গাড়িতে করে তাদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের প্রতিবাদে আগামী ১২ই অক্টোবর হরতালসহ তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত ইসলামী। গতকাল দলটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভারপ্রাপ্ত আমির হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে দাবি করে বলেন, সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সকল বিরোধী দলকে নেতৃত্ব শূন্য করে দেশকে একদলীয় শাসনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তারই অংশ হিসেবে গত ৯ই অক্টোবর রাতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। দলটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, ১২ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সর্বাত্মক হরতাল ও  ১৩ই অক্টোবর শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তির জন্য সারা দেশব্যাপী দোয়া।

রাজধানীতে ছাত্রদলের মিছিল থেকে আটক ৮: রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপি ও অঙ্গদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীতে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে সকালে দৈনিক বাংলায় জেহাদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে যায়  ছাত্রদল।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমউদ্দিন আলম ও ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে ছাত্রদল বিক্ষোভ শুরু করলে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে মতিঝিল ও পল্টন থানা পুলিশ।

রাজধানীতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ ফারুকী হিরা, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি সাজিদ হাসান বাবু, এফএইচ হল শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক কাজী শহিদুল, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইমরান, পল্টন থানা ছাত্রদল নেতা ইয়াসিন ভুঁইয়া, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর নেতা শোয়েব খান, রানা, মনির, ওমর ফারুক, বাবু, আবু সাঈদ, শাকিল আহমেদ ও সাজ্জাদ মিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৫৭নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি জুয়েল, লালবাগ থানার সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন, শাহজাহানপুর থানার সদস্য সচিব মোস্তাক, সাইদুল, সুমন, দুলাল ও উজ্জ্বল।

এ সময় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোল্লা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, শাহজাহান, পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মানিকসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া রাজধানীর দৈনিক বাংলা থেকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ ছাড়া সোমবার রাতেই বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোজাফফর রহমান আলম এবং সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ইদ্রিস আলী নিকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বাদল ও নিউ মার্কেট থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রিংকু, বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদল সভাপতি পারভেজ আকন্দ বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক এইচএম তসলিমউদ্দিনসহ ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

বাগেরহাটে আটক ৪৯ : বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটে পুলিশের বিশেষ অভিযানে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাফ্‌ফর রহমান আলম ও সদর থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইদ্রিস আলী এবং বিএনপি ও জামায়াত কর্মীসহ ৪৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে মাহমুদ হাসান নামের এক জামায়াত কর্মী ও সেকেন্দার আলী শেখ, দেলোয়ার হোসেন শেখ নামের দুই বিএনপি কর্মী রয়েছেন। এদের বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামে।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন বলেন, পুলিশের বিশেষ অভিযানে নাশকতা মামলার আসামি জেলা বিএনপি নেতা মোজাফ্‌ফর রহমান আলম ও সদর থানা বিএনপির নেতা ইদ্রিস আলীসহ মোট ৮ জনকে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বাবু বলেন, বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় পুলিশ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাফ্‌ফর রহমান আলম ও সদর থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইদ্রিস আলীসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করেছে। -মানবজমিন

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে