ঢাকা : ১৯৯২ সালের চুক্তি মতে রোহিঙ্গাদের ভেরিফিকেশন এবং তাদের ফেরাতে মিয়ানমারের দেয়া প্রস্তাব দেশটির ‘আন্তর্জাতিক চাপ প্রশমিত করার কৌশল’ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগত নিধন’ বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্ব সমপ্রদায় যখন সোচ্চার সেই সময়ে নিজে থেকে তাদের ফেরানোর প্রস্তাব করে মিয়ানমার।
বৈশ্বিক উদ্যোগের মধ্যে সুচি সরকারের একজন মন্ত্রী ঢাকা সফর করেন এবং রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ না করেই তাদের ফিরিয়ে নেয়ার আচমকা প্রস্তাব দেন। গত ২রা অক্টোবর মিয়ানমারের মন্ত্রীর ঢাকা সফর এবং ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালেই এটি ‘সময়ক্ষেপণ এবং আন্তর্জাতিক চাপ প্রশমনে তাদের কৌশল’ কি-না সেই প্রশ্ন উঠেছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য সেদিন ‘আলোচনা চলছে, এখনই কোনো মন্তব্য নয়’ বলে তা এড়িয়ে যান। এক সপ্তাহের ব্যবধানে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী নিজেই সেই সংশয় প্রকাশ করলেন। ‘রোহিঙ্গা সংকট : বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ ও পর্যালোচনা’ শীর্ষক রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে কোনো রকম রাখঢাক না করেই
মন্ত্রী বললেন, ‘রোহিঙ্গাদের আংশিক ফিরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রশমিত করার কৌশল হতে পারে। মিয়ানমার নিজস্ব যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য প্রত্যাবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা সীমিত করার এবং নানা অজুহাতে কফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে বিলম্বিত করতে পারে।’
মন্ত্রী এ-ও বললেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন একটি ‘জটিল’ এবং ‘দীর্ঘমেয়াদি’ প্রক্রিয়া। তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের চাপ আরো বাড়াতে হবে। তা না হলে মিয়ানমার সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী নাও হতে পারে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) ওই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
বিস মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ আহমদের সভাপতিত্বে এবং মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একে এম আবদুর রহমানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সকালে শুরু হওয়া ওই আলোচনা চলে বিকাল অবধি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, সংশ্লিষ্ট সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, কূটনীতিক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, শিক্ষাবিদ ও এনজিও ব্যক্তিত্বরা এতে অংশ নেন।
রোহিঙ্গা সংকটকে বহুমাত্রিক, বহুস্তর বিশিষ্ট এবং স্পর্শকাতর ইস্যু উল্লেখ করে বক্তাদের কেউ কেউ এটি মোকাবিলায় জাতীয় টাস্কফোর্স বা জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের আদলে কোনো ফোরাম গঠন করা যায় কি-না সেই সুপারিশ রাখেন সরকারের বিবেচনায়। তারা জাতীয়ভাবে সংকট মোকাবিলার তাগিদ দেন। এ বিষয়ে সরকারের কার্যক্রম ও বক্তব্যে সমন্বয় জরুরি বলে মত দেন। এ নিয়ে একটি সেল গঠন এবং একজন মুখপাত্র ঠিক করার সুপারিশও আসে।
সংকট সামলে ওঠতে ভারত, চীন, রাশিয়াকে আরো কাছে পাওয়ার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদারের তাগিদ দেন সাবেক কূটনীতিকরা। একই সঙ্গে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ রোহিঙ্গা রয়েছে এমন দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়। প্রয়োজনে উল্লিখিত দেশগুলোতে অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ পদমর্যাদায় বিশেষ দূত পাঠানোরও সুপারিশ আসে। রোহিঙ্গাদের শরণার্থী না বলে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক বলার পেছনে সরকারের যুক্তি কি?
তাদের শরণার্থী মর্যাদা দিলে কি অসুবিধা হবে? সেসব প্রশ্নও আসে। তাদের রিফিউজি বা শরণার্থী মর্যাদা দিলে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের সম্পৃক্ততা এবং দায়-দায়িত্ব বেড়ে এবং বাংলাদেশের বোঝা কিছুটা হালকা হবে এমন যুক্তি দেখান অনেকে। অবশ্য আলোচনায় এখন পর্যন্ত নেয়া সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়।
বিশেষ করে সরকার যেভাবে পরিস্থিতির মানবিক দিকগুলো চিহ্নিত করেছে এবং তাৎক্ষণিক বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে তা স্বীকার করেন সরকারের বাইরে থাকা প্রতিনিধিরা। তবে এ নিয়ে আরো অনেক কাজ বাকি বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর বিষয়টি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত মিয়ানমারের ওপর সৃষ্ট বৈশ্বিক চাপ ধরে রাখতে সরকারের বহুমুখী কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের তাগিদ দেন তারা। রোহিঙ্গাদের রোজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার সুপারিশও করেন অনেকে।
প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই আলোচনা, সুধীজনদের প্রশ্ন এবং সুপারিশ আমলে নিয়ে সমাপনীতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও সচিব শহীদুল হক যৌথভাবে সরকারের অবস্থান এবং করণীয় বিষয়ে ব্রিফ করেন। বিশেষ করে শরণার্থী বললে কি অসুবিধা হবে- তা খোলাখুলিভাবে তুলে ধরেন তারা। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, শরণার্থী বললে তাদের ফেরত পাঠনো কঠিন হবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ বুঝেশুনেই অবস্থান নিয়েছে।
বৈশ্বিক উদ্যোগ বিশেষ করে নিরাপত্তা কাউন্সিলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে দফায় দফায় যে আলোচনা হয়েছে তা বাংলাদেশের এ্যাফোর্ট বা উদ্যোগের ফসল উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম আলোচনা হয়েছে ক্লোজ ডোর। পরে এ নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়। সেই আলোচনার আয়োজনে রাশিয়া কিংবা চীন ভোটো দেয়নি। তবে সেখানে রেজুলেশন গ্রহণে চীন ও রাশিয়া যেভাবে ভোটো দিয়েছে এবং তা নিয়ে আপাত দৃষ্টিতে যে হতাশা তৈরি হয়েছে তারও এটি ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন প্রতিমন্ত্রী।
বলেন, মিয়ানমারকে ভালো জানে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তরণে ওই তিন পক্ষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তারা মিয়ানমারকে কনফিডেন্স দিয়েছিল। ওই ৩টি পক্ষ রোহিঙ্গা ইস্যুতে অত্যন্ত শক্তভাবে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন সরব রয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেখানকার রেজুলেশনই এ সংকটের একমাত্র সমাধান নয়।
বাংলাদেশ মনে করে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও ইইউ যেভাবে চাপ তৈরি করেছে এবং মিয়ানমার সম্পর্কে তাদের যে অভিজ্ঞতা (গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট বিষয়েও তারা অবহিত) তাতে তাদের সহায়তায় এ সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান হবে। পররাষ্ট্র সচিব তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, এটি প্রায় নিশ্চিত যে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় কোনো দেশ নেবে না। তাদের কোনো দেশে পুনর্বাসন সম্ভব নয়। তাই তাদের মিয়ানমারেই নিজ নিজ বসত ভিটায় (নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে) ফেরত পাঠাতে হবে। এখন তাদের শণরার্থী বললে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বললেন- গোলটেবিল আলোচনার উদ্বোধনীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রোহিঙ্গা সংকটের বিস্তারিত তুলে ধরে দীর্ঘ বক্তৃতা করেন। সেখানে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের সঙ্গে মিলিতভাবে মিয়ানমারের ওপর আরো চাপ প্রয়োগ করতে হবে, যাতে সুচি’র এনএলডি সরকার রাখাইনে স্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও জীবন যাপনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ইতিবাচক নীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করে এবং সামরিক বাহিনী নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।
তিনি বলেন, তারা যেন বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাধ্য হয়, বাংলাদেশ সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের দুটি দিক রয়েছে। প্রথমত, মিয়ানমারে মূল সমস্যার সমাধান এবং দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ থেকে তাদের ফিরিয়ে নেয়া। প্রথম ক্ষেত্রে মূল সমস্যার সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে। রোহিঙ্গাদের নাগরকিত্বসহ অন্যান্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বৈষম্যমূলক নীতির অবসান ঘটিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অপপ্রচার, ধর্মীয় বিদ্বেষ, উগ্র জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে; ধর্মীয় ও জাতিগত সমপ্রীতি ফিরিয়ে আনার জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় চাপ প্রয়োগ না করলে মিয়ানমার মূল সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবে বলে মনে হয় না। নাগরিকত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের সুপারিশমালার পূর্ণ ও দ্রুত বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে আরো তৎপর হতে হবে।
সংকটের দ্বিতীয় অংশে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়াকে ‘জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারেও মিয়ানমারকে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। সেখানে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরবিশে সৃষ্টি করতে হবে। নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও জীবিকার নিশ্চয়তা না পেলে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে আগ্রহী হবে না। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে।
অতীতে দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগ ছিল, সাড়া দেয়নি মিয়ানমার: অতীতে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়ানোর যথেষ্ট উদ্যোগ ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, ’৯২ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসনের যে নীতি নেয়া হয়েছিল, মিয়ানমার এখন সেটাকে অনুসরণ করতে চাইছে। বাংলাদেশ সরকার এবারের পরিস্থিতির মাত্রা ও ভিন্নতার বিষয়ে মিয়ানমারকে জানিয়েছে এবং প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে একটা খসড়া প্রস্তাব হস্তান্তর করেছে।
এই প্রক্রিয়ায় আইওএম এবং ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত রাখতে চাইছে ঢাকা- এমনটি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চায়, আন্তর্জাতিক চাপটা অব্যাহত থাকুক। ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের নিষ্পৃহ মনে হয়েছে। তারা বাংলাদেশ সফর করেছে তবে কখনোই আলোচনা এগোয়নি। এমনকি আজকেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, সেখানকার গণমাধ্যমে এখনো রোহিঙ্গাদের ‘বেঙ্গল টেরোরিস্ট’ বলা হচ্ছে।
আগামী ১৬ই অক্টোবর ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে- এমনটা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে মিয়ানমার কী করছে, সেটা দেখেই বোঝা যাবে মিয়ানমার সত্যিই প্রত্যাবাসনে আগ্রহী কি-না। বাংলাদেশ কী করেনি? বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় আলোচনাও করেছে, একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছে। এর আগে একবারই জাতিসংঘের মহাসচিব লেবাননের সমস্যা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি দিয়েছিল। আর এবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চিঠি দিলো। এই নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে মোট চারটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হলো।
উল্লেখ্য, রাখাইনে বর্মী বাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা ৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। আর গত ২৫শে আগস্ট রাখাইনে নতুন করে দমন অভিযান শুরুর পর আরো পাঁচ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।
বেশ কিছুদিন কূটনৈতিক আলোচনার পর ১৯৯২ সালে মিয়ানমারের সামরিক সরকার শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি প্রত্যাবাসন চুক্তি করে, যেখানে রোহিঙ্গাদের ‘মিয়ানমার সমাজের সদস্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ওই চুক্তির আওতায় মিয়ানমার সে সময় দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ জন রোহিঙ্গাকে দেশে ফিরিয়ে নেয়। চুক্তি নির্ধারিত যাচাই প্রক্রিয়ায় আরো ২৪১৫ জন শরণার্থীকে সে সময় মিয়ানমার থেকে আসা বলে চিহ্নিত করা হলেও মিয়ানমার তাদের আর ফিরিয়ে নেয়নি। -এমজমিন
এমটিনিউজ/এসএস