নিউজ ডেস্ক : বিচারপতি এসকে সিনহাকে ‘জোর করে’ বিদেশে পাঠানোর অভিযোগ নাকচ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধান বিচারপতি মেরুদণ্ডহীন কেউ নন, ও রকম কিছু হলে উনিই বলতেন।
ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের তোপের মুখে থাকা প্রধান বিচারপতি একমাসের ছুটি নিয়ে এখন অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন। তাকে ছুটি নিতে বাধ্য করে এখন জোর করে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের।
বুধবার রাজধানীর উত্তরায় মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনের সময় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “তাকে (প্রধান বিচারপতি) জোর করে পাঠানো হচ্ছে না। তিনি নিজেই বলুন তাকে জোর করে পাঠানো হচ্ছে কি না। উনি কি মেরুদণ্ডহীন কেউ যে, তিনি বলবেন না সে রকম কিছু হলে?”
গত আগস্টে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রকাশের পর প্রধান বিচারপতির অপসারণ দাবি করেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা। এ দাবিতে রাজপথে কর্মসূচিও পালিত হয়। এক মাসের অবকাশ শেষে ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট খোলার পর প্রধান বিচারপতির ছুটি নেওয়ার খবর জানান অ্যাটর্নি জেনারেল, পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও একই কথা বলেন।
এরপর থেকে সাংবাদিকদের সামনাসামনি না হওয়া প্রধান বিচারপতি মাঝে একদিন লক্ষ্মীপূজা দিতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান। এর দুদিন পর ৭ অক্টোবর বিচারপতি সিনহার অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পাওয়ার খবর আসে।
প্রধান বিচারপতি ১৩ অক্টোবর বিদেশে যাবেন জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক। চিঠির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “আগামী ১৩ তারিখ তিনি (প্রধান বিচারপতি) বিদেশে যাবেন, ফিরবেন ১০ নভেম্বর।”
প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে বক্তব্যের জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপি মহাসচিব ‘প্রলাপ’ বকছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “উনাকে কাঁদতে বলেন। চোখের জল ফেলা ছাড়া তো উনার আর করার কিছু দেখছি না।
তিনি বলেন, “কারণ চেয়ারপার্সন আসবেন, আসবেন, কবে আসবেন কেউ জানে না। নেতাকর্মীরা হতাশ। কাজেই উনি এখন এটা-সেটা বলে কোনো রকমে নেতাকর্মীদের চাঙা রাখা যায় কি না সে ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।”
মির্জা ফখরুলের এখন করার কিছু নেই মন্তব্য করে কাদের বলেন, “তার অবস্থায় পড়লে আমার কী হত, আমি জানি না। তবে আমাদের ভাগ্যে সেটা ঘটেনি।”
এমটিনিউজ/এসএস