নিউজ ডেস্ক : দেশের যেকোনো স্থানে বাড়ি নির্মাণ করতে সরকারের অনুমতি লাগবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সেইসঙ্গে দৈনিক ৩০০ টাকা কিস্তিতে গরীবদের মধ্যে এসব ফ্ল্যাট বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মলন কেন্দ্রে নগরের দারিদ্রদের জন্য গৃহায়নে অর্থায়ন বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচি দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, শিগগিরই নগর অঞ্চল পরিকল্পনা আইন বাস্তবায়ন করা হবে। এ আইন অনুযায়ী গ্রামে বা যেকোনো স্থানে বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে ওই এলাকার পৌরসভা বা ইউএনওর থেকে অনুমতি নিতে হবে। আপাতত গ্রামে ছয় তলার বেশি উঁচু বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না। এবং তা হতে হবে ভূমিকম্প সহনীয়। কিন্তু শহরের যত ইচ্ছা উঁচু বাড়ি করা যাবে। তবে যেখানে সেখানে বাড়ি করা যাবে না। ফসলি জমি বাঁচিয়ে পরিকল্পিত উপায়ে বাড়ি বানাতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মোট বাড়ির ৮১ শতাংশই গ্রামে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ বাড়ি নিম্নমানের। যদিও মোট জনসংখ্যার ৭২ ভাগ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। তাই গ্রামে বসবাসকারীদের জন্য সহজ শর্তে এ্যাপার্টমেন্ট করে দিবে সরকার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বস্তিবাসীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বস্তিবাসীদের লালন-পালন করে স্থানীয় মাস্তানরা। তারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে বস্তিবাসীদের নানা অপকর্মে উৎসাহ যোগায়। বস্তিতে বসবাস করতে হলে মাস্তানদের টাকা দিতে হয়। বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ পেতে ঘুষ দিতে হয়। আবার বিলও দিতে হয়। অথচ তাদের বসবাস খুব নিম্নমানের।’
এনজিও’র উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘আপনার কমিউনিটি বিল্ড করেন। আমরা ন্যাশনাল হাউজিংয়ের অধীনে ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিবো। এনজিওদের সংগে কাজ করবো। রাজধানীর অন্যান্য সিটিতে সরকারি খাস জমি দিলে আমরা গৃহ নির্মাণ করে দিবো। টাকা লাগবে না।’
বস্তিবাসীর জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অপরিকল্পিত বাড়ি নির্মাণ ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিন ২৩৫ হেক্টর ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। তাই সরকার ইতিমধ্যে ৭ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। আরো ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। দৈনিক ৩০০ টাকা কিস্তিতে গরীবদের মধ্যে এসব ফ্ল্যাট বিতরণ করা হবে।’
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে বার বার পাহাড় ধসে পড়ে। সেখানে দায়িত্বরতরা সঠিক দায়িত্ব পালন না করায় পাহাড় ধসে শত শত মানুষ প্রাণ হারায়। চট্টগ্রাম সিটিকে বলছি পতিত জমি খুঁজে বের করুন। সেখানে গরিবদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররা উপস্থিত ছিলেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস