নিউজ ডেস্ক : আগামী ছয় মাসের মধ্যে মরণ ফাঁদ অনলাইন গেম ‘ব্লু হোয়েলের’ সব লিংক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ব্লু হোয়েল গেমটি বন্ধে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে অাদালত।
১৬ অক্টোবর সোমবার এক রিটের শুনানিতে এ নির্দেশ দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এছাড়া রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সব বিশেষ ইন্টারনেট প্যাকেজ বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ১৫ অক্টোবর রোববার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী কথিত এই গেম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেছেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির।
সম্প্রতি ঢাকার হলিক্রস স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ‘ব্লু হোয়েল’ গেমের ফাঁদে পড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে সন্দেহ করতে থাকেন অনেকে।
ধানমন্ডির সেন্ট্রাল রোডে একটি বাসা থেকে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তার শরীরে কোনো ধরনের আঘাত বা হাত-পা কাটার চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘ব্লু হোয়েলে’ আসক্ত প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে শনাক্তের পর কাউন্সেলিং করা হয়েছে জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মসিউদৌল্লাহ রেজা।
২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় ওই মরণ খেলা। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দু’বছর পরে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে। যেন আত্মহত্যার জন্যই। সেই থেকেই এই গেমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল’।
মরণফাঁদ ‘ব্লু হোয়েল’ গেমে মোট ৫০টি ধাপ রয়েছে। যার সর্বশেষ ধাপ মৃত্যু। ধাপগুলোতে আছে হাত পা কাটার মতো বিপজ্জনক কাজ। শুধু কাজ করলেই হয় না। উপযুক্ত প্রমাণ হিসাবে ছবিও তুলতে হয়। তবেই চ্যালেঞ্জ পূর্ণ হয়েছে বলে ধরা হবে। এই গেমের শেষ ধাপে আত্মহত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইতোমধ্যে ‘ব্লু হোয়েল’ গেমটির বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৮ অক্টোবর সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস