নিউজ ডেস্ক : জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর সোমবার ড্রোন মাধ্যমে মহাশূণ্য থেকে ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের পথে কিভাবে পালিয়ে আসছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
বাংলাদেশের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আনজিমান পাড়া পয়েন্ট দিয়ে একদিনেই ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। আরো রোহিঙ্গা এপারে ঢুকতে মিয়ানমার কুয়ান্সিবং সীমান্তে অপেক্ষা করছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি।
১৫ই অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ২০ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে করেছে। বর্তমানে তারা আনজিমানের উত্তর পাড়া সীমান্তে অর্থাৎ নাফ নদের বেড়ি বাঁধে অবস্থান করছেন। এদিকে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত দিয়েও রাতের আঁধারে নৌকাযোগে প্রায় দেড় হাজারের অধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে।
এদের মধ্যেও বেশির ভাগ রাখাইনের বুছিডং থানার বাসিন্দা। এর মধ্যে রোববার রাতে নাফ নদ পার হতে গিয়ে নাফ নদ ও সাগরের মোহনায় আবারো নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। নৌকা ডুবির ঘটনায় ৫ শিশু ও ৬ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২১ জনকে। আরো অন্তত ৩০ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশির ভাগ বুচিডং থানার মগনামা, কোয়াইনডং, জাদীপাড়া, লাওয়াডং গ্রামের বাসিন্দা রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশে প্রবেশের আগে রোহিঙ্গাদের সীমান্তে যাচাই বাছাই করার প্রক্রিয়া দ্রুত করার আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে এই প্রক্রিয়া ধীর হওয়ার কারণে সীমান্তের কাছে ১৫ হাজারের মতো রোহিঙ্গা আটকে রয়েছেন।
তাদের যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ সীমানার আরো ভেতরে নিরাপদে স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানানো হয়েছে। সংস্থাটির একজন মুখপাত্র বলছেন, যে কোন দেশ তার সীমানায় আসা কারো সম্পর্কে খবর নেবে কিন্তু নতুন আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সীমান্তে মানবেতর অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাদের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউএনএইচসিআর।
প্রসঙ্গত, ইউএনএইচসিআর এর তথ্যমতে আগস্ট মাসের শেষ থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে আনুমানিক ৫ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গা। ভিডিও ফুটেজটি রোহিঙ্গারা নাফ নদী পার হওয়ার পর ধারণ করা বলে উল্লেখ করা হয় গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে।
এমটিনিউজ/এসবি