শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭, ০১:৪৬:৫৩

সুচির নাম মুছে ফেলল অক্সফোর্ড, মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চায় জাতিসংঘ

সুচির নাম মুছে ফেলল অক্সফোর্ড, মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চায় জাতিসংঘ

নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাইল জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন বন্ধের জন্য যথেষ্ট চাপ দিচ্ছে। তবে তাতে কর্ণপাত করছে না মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। নিপীড়ন চলছেই। ফলে জীবন বাঁচাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান জেইদ রা’দ আল হুসেন আলজাজিরাকে বলেন, ‘রাখাইনে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ চলছে তার হোতাদের বিচার করা না হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করতে হবে।’

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, রাখাইনে নিপীড়ন অব্যাহত থাকায় বৃহস্পতিবার রাতেও বাংলাদেশে এসেছে ৬৮০০ রোহিঙ্গা। ফলে দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা। সমসাময়িক বিশ্বে এত বড় শরণার্থী সংকট দেখা যায়নি।

রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগে বাধ্য করার জন্য দায়ী করা হচ্ছে দেশটির সামরিক নেতাদের। তবে এই সংকটে রোহিঙ্গাবিরোধী অবস্থান নেয়ায় সমালোচিত হচ্ছেন দেশটির মূল ক্ষমতাধর নেত্রী অং সান সুচি। সারা বিশ্ব তার নিন্দায় মুখর। কোথাও কোথাও তার বিরুদ্ধে প্রতীকী পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছে।

রোহিঙ্গা সংকটে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে অক্সফোর্ড কলেজ তাদের জুনিয়র কমনরুম থেকে সু চির নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্ট হিউ’স কলেজের শিক্ষার্থীরা কমনরুম থেকে সু চির নাম মুছে ফেলার পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে জানায় ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ান।

অক্সফোর্ডের এই আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কলেজে সু চি পড়াশোনা করেছিলেন। সেন্ট হিউ’র সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়েছে, রাখাইনে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সু চি সেনাদের সমালোচনা করছেন না, যা অগ্রহণযোগ্য। এক সময় তিনি যে নীতি ও আদর্শের কথা বলতেন এখন সেগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

২০১২ সালে সু চি অক্সফোর্ড থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছিলেন। ওই বছরই তিনি নিজের ৬৭তম জন্মদিন ওই কলেজে পালন করেন। এখানে ১৯৬৪-৬৭ সাল পর্যন্ত সু চি রাজনীতি, দর্শন ও অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন।

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে সেন্ট হিউ’র পরিচালনা পর্ষদ কলেজের মূল ফটক থেকে সুচির প্রতিকৃতি নামিয়ে ফেলে। অক্টোবর মাসের শুরুতে অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে সু চির ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব অক্সফোর্ড পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। -যুগান্তর

এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে