নিউজ ডেস্ক : ঢাকার জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘ঢাকার জলাবদ্ধতা আপনি কী দেখছেন। কলকাতায় যান, বোম্বেতে যান, পৃথিবীর প্রত্যেকটি ক্রমবর্ধমান সিটিতে এ সমস্যা আছে।’
গতকাল সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নির্মল পরিবেশ ও স্বাস্থ্যবান প্রজন্ম গড়তে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেমিনারে ঢাকার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
তবে, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। এ লক্ষ্যে ঢাকা শহরের ৪৭টি খাল পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকা শহরের মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সিটি করপোরেশন, ওয়াসাসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এসব সমস্যা সমাধানে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন ও ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের সমস্যাগুলো এক দিনের নয়, এগুলো দীর্ঘদিনে সৃষ্টি হয়েছে। তাই সমাধানেও একটু সময় লাগছে। তবে, তা নিরসন করা সম্ভব, আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি।
আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, আশা করি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই জলাবদ্ধতা সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরের খালগুলো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। সবক’টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে।
সেমিনারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, হাসপাতাল ও ওষুধ কোম্পানিগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এসব ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যাপারে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ওসমান গনির সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিসবাহুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল প্রমুখ।
এমটিনিউজ/এসবি