নিউজ ডেস্ক : নৌকাডুবির কারণে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার প্রথম দিনে অংশ না নিতে পারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের প্রায় অর্ধশত পরীক্ষার্থী পুনরায় পরীক্ষা দিতে পারবেন। মানবিক বিবেচনায়ে এ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ মহিউদ্দীন খান বলেন, নৌকাডুবির কারণে দুই পরীক্ষার্থী মারা গেছে এবং কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মর্মাহত।
এ ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণত পরীক্ষায় অংশ না নিলে অনুপস্থিত ধরা হয়। তবে দুর্ঘটনার কারণে যারা অংশ নিতে পারেনি তাদের ব্যাপারে মানবিক কারণে বিশেষ বিবেচনা করা হবে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল খালেক মুঠোফোনে বলেন, দুর্ঘটনার খবরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। হতাহদের স্বজনদের সমবেদনা জানিয়েছি। নৌকাডুবির কারণে প্রথম দিনের (বাংলা প্রথমপত্র) পরীক্ষায় ১৮ পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি।
তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বোর্ড মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন জানিয়ে তারা সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়শার আহমেদ বলেন, দুর্ঘটার কারণে যারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বোর্ড নিতে পারে না। তবে বিষয়টি মানবিক বিবেচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে মৌখিক ভাবে জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত দিলে অন্য পরীক্ষা শেষে আলাদা সেটের প্রশ্নে তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগরের কৃষ্ণনগর এলাকার তিতাস নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের দুই জেএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়। আহত হয় আরও অর্ধশতাধিক। আহতদের বেশির ভাগই পরীক্ষার্থী।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/এস