নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে জানালেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে চতুর্থ দিনের বক্তব্য দিতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১ টা ৩৯ মিনিটে তিনি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আসেন খালেদা জিয়া। পরে সকাল ১১টা ৫৮ থেকে ১টা ৩২ পর্যন্ত বক্তব্য দেন তিন।
এ সময় আদালতকে খালেদা জিয়া বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রতি প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবেন না তিনি। প্রতিহিংসার রাজনীতিও করবেন না। শেখ হাসিনাকে তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করিনি। তারা আমার সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেছিল। নানা রকম প্রস্তাব আমার কাছে এসেছিল। আমি তাতে রাজি হইনি। জানিয়েছিল জরুরি অবস্থা তুলে দিয়ে তারা নির্বাচনে যেতে চায়।’
বিএনপি প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে গোপন আঁতাত করে ক্ষমতায় গিয়েছিল। সংবিধান ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ফলাফল মেনে নিয়েছিলাম। সরকারকে সহযোগিতার কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের সহযোগিতার আচরণের বিনিময়ে তারা কী আচরণ করেছে তা সবারই জানা।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রতিহিংসার বিপরীতে সংযম ও সহিষ্ণুতার পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা আমরা বারবার করে এসেছি। কিছুদিন আগেও আমি সংবাদ সম্মেলনে অতীতের তিক্ততার কথা তুলে ধরেছি। আমার ও শহীদ জিয়ার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ক্রমাগত অশোভন উক্তি, প্রতিহিংসামূলক বৈরী আচরণ সত্ত্বেও আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। আমি তার প্রতি কোনও প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবো না।’
আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসুন, রাজনীতিতে সহিষ্ণু, সুন্দর সংস্কৃতি গড়ে তুলি। যা গণতন্ত্রের জন্য খুবই প্রয়োজন। যাতে আমাদের কাছ থেকে ভবিষ্যত প্রজন্ম ভালো কিছু শিখতে পারে। প্রতিহিংসামূলক বৈরী আচরণের পরও আমি তাকে (শেখ হাসিনা) ক্ষমা করে দিয়েছি।’
এমটিনিউজ/এসএস