নিউজ ডেস্ক : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে।তবে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হবে নাকি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়টি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার।
এ সময় মাহবুব তালুকদার বলেন, আমাদের এই ভবনের জন্য সবসময় আমাদের সতর্ক থাকা দরকার। এই সতর্কতার অংশ হিসেবে এই চিঠিটা গেছে। তাছাড়া আমাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাতো আছেই।
এ সময় তিনি আরো বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমাদের যে আলোচনা হয় তাতে আমার দৃঢ় ধারণা নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে। তবে নির্বাচনে সেনা বাহিনীর ভূমিকা কি হবে তা এখনি বলা যাচ্ছে না।
ইভিএম বাদ দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হচ্ছে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, পুরাতন ইভিএম অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে। কিছু ভালো আছে সেগুলো দিয়ে রংপুর কিংবা অন্য জায়গায় দেখার চেষ্টা করছি ইভিএম কার্যকর করা যায় কি না।
‘তবে এই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতেই হবে এমন চিন্তা কমিশনের নেই।’
ভবিষ্যতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইভিএম যুক্ত করার পক্ষে অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যারা আসবে তাদের পথটা আমরা রুদ্ধ করতে চাই না। তাদের পথ প্রশস্ত করতে চাই। আমাদের ইভিএম ব্যবহারের প্রাথমিক প্রস্তুতি নেই। এখন পর্যন্ত যে দশা দেখছি এটা ব্যবহার সম্ভব নয়। আমাদের একটা স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হবে। সেই স্বচ্ছ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ যন্ত্র দিয়ে হবে না।’
এর আগে, রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেন, নির্দলীয় সরকারের পাশাপাশি নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ইভিএমে ভোটগ্রহণের উদ্যোগ বন্ধের দাবি জানান।
তবে তার ওই দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েন এবং ইভিএম ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানান মাহবুব তালুকদার।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি তো বলেছে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে সেনা মোতায়েন করতে। বিএনপির সেই বক্তব্যের বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়ার জবাব দেওয়া আমার কাজ না।’
একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে আরপিওতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষাবাহিনীকে যুক্ত করে ভোটের সময় তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানায় বিএনপি। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যে সুপারিশগুলো করে তার মধ্যে অন্যতম ছিল সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার না দেওয়া। পাশাপাশি ইভিএমে ভোট করা যায় কি না সে প্রস্তাব দিয়েছিল তারা।
এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস