শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০২:২৮:৪৭

নতুন দল নিবন্ধন আবেদনের শেষ সময় আগামীকাল

নতুন দল নিবন্ধন আবেদনের শেষ সময় আগামীকাল

নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা দল নিবন্ধন আবেদনের শেষ সময় আগামীকাল (রোববার) পর্যন্ত। তাই নতুন দলের নিবন্ধন পেতে আগামীকালের মধ্যে ইসিতে আবেদন করতে হবে।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য ইচ্ছুকদের কাছ থেকে আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অধীন এবং রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালা-২০০৮ এ উল্লেখিত শর্তাবলী পূরণ করে নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে, বিধিমালায় সংযুক্ত ফরম-১ পূরণ করে।

এক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে- দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও পতাকার ছবি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বা সমমানের কমিটির সব সদস্যের নাম-পদবি, দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও এতে স্থিতির পরিমাণ, তহবিলের উৎসের বিবরণ, দলের নিবন্ধন পেতে দরখাস্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ক্ষমতাপত্র, নিবন্ধন ফি, নির্বাচন কমিশনের সচিবের অনুকূলে জমা করা টেজ্রারি চালান কপি ইত্যাদি।

এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্র থেকে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (বাকশাল), বাংলাদেশ আলোকিত পার্টি, বাংলাদেশ মঙ্গল পার্টি, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিপিডিপি), বাংলাদেশ সমাধান ঐক্য পার্টি, বাংলাদেশ কর্মসংস্থান আন্দোলন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক গাজী, বাংলাদেশ জনতা পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ জালালী পার্টি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ (এনডিএম) বেশ কয়েকটি দলের আবেদন জমা পড়েছে।

ইসি সূত্র আরো জানায়, এবার যথাযথভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে শর্ত পূরণ হলেই কেবল নতুন দলের নিবন্ধন দেওয়া হবে। ইসির নিবন্ধন ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। নতুন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, তিনটির মধ্যে একটি শর্ত পূরণ হলেই তারা নিবন্ধনের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। শর্তগুলো হলো- দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেকোনো জাতীয় নির্বাচনের আগ্রহী দলটির যদি অন্তত একজন সংসদ সদস্য থাকে, যেকোনো একটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী অংশ নেওয়া আসনগুলোয় মোট প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ পায় এবং দলটির যদি একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ (২১টি) প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং অন্তত ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত দলিল থাকে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা চালুর প্রথম বছর ১১৭টি দল ইসির নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। সেখান থেকে শর্ত পূরণ হওয়ায় ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দেয় এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন। এর মধ্যে স্থায়ী সংশোধিত গঠনতন্ত্র দিতে না পারায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। আর আদালতের আদেশে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ হয়। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) নামে নতুন একটি দলের নিবন্ধন দেয়। বর্তমানে ইসির নিবন্ধনে ৪০টি রাজনৈতিক দল রয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর ২০১৭/এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে