নিউজ ডেস্ক: সাগরের তলদেশেই লুকিয়ে আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্রগুলো। পারস্য উপসাগরেও নিজের গ্যাস ক্ষেত্রগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে কাতার।
কাতারের মতো অনেক দেশ সাগরের সম্পদ কাজে লাগিয়ে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এই উদাহরণ কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারত-মিয়ানমারও সমুদ্রসম্পদ আহরণ শুরু করেছে অনেক আগে থেকে।
বঙ্গোপসাগরে নিজ সীমায় ভারত ও মিয়ানমার বিপুল পরিমাণ গ্যাস আহরণ করলেও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে কোনো উদ্যোগও নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে অনুসন্ধান চালাতে হবে। অন্যথায়, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দর কষাকষিতে টিকতে পারবে না বাংলাদেশ।
এক হিসাবে দেখা যায়, ভারত ৪০ বছর আগে থেকে সাগরে খনিজ সম্পদ আহরণ করছে। আর ১৯৮৮ সালে তেল-গ্যাস খাতে বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন করে মিয়ানমার। তখন থেকে বিদেশি কোম্পানিগুলো মিয়ানমারের তেল ও গ্যাস খাতে প্রায় দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বর্তমানে ১৭টি কোম্পানি মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় গ্যাসকূপ খননের কাজ করছে। দৈনিক দুই বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করছে দেশটি। যার বেশিরভাগই সমুদ্র থেকে।
অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, সমুদ্রসীমায় ব্লক এ-১, এ-২ এবং এ-৩, সুফু, সু ও মিঞা নামে তিনটি বড় গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে মিয়ানমার। অথচ, এই ব্লকগুলো বাংলাদেশের ব্লকগুলোর কাছাকাছি অবস্থিত। সুতরাং এখানে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাওসার আহমেদ বলেন, এই এলাকাগুলোতে যদি আমরা দ্রুত গ্যাস আহরণে পদক্ষেপ না নিই, তবে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দর কষাকষিতে টিকতে পারবে না বাংলাদেশ। তাই এখনই গ্যাস অনুসন্ধানে নামা উচিত।-আরটিভি
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস