রবিবার, ০৭ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৭:২১:৪৪

আরো কতদিন থাকবে শৈত্যপ্রবাহ?

  আরো কতদিন থাকবে শৈত্যপ্রবাহ?

নিউজ ডেস্ক: মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহেই ভোগান্তি বেড়েছে রাজধানীতেও। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও রাজধানীতে ছিল না সূর্যের প্রখরতা। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীর ছিন্নমূল মানুষ। এদিকে, হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।

দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে চলছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। তার প্রভাবে সারাদেশেই অস্বাভাবিক হারে কমছে তাপমাত্রা। বইছে মৃদু বাতাস। রাজধানীও এর ব্যতিক্রম নয়। ইট পাথরের নগরীতে গেল কয়েকদিন ধরে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। স্বাভাবিক কাজকর্ম সারতে বেগ পেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

সাধারণ মানুষেরা বলেন, 'খুবই সমস্যা হচ্ছে। বাতাসটা খুবই সমস্যা করছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় শীত খুবই বেশি। শীতের জন্য স্কুলে যেতে দেরি হয়, ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়।'

এর পরও জীবিকার তাগিদেই প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে রাস্তায় বেড়িয়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।

রোববার দুপুরে কুয়াশার চাঁদর ভেদ করে কিছুটা সূর্যের আলো দেখা গেলেও তা ঠাণ্ডা কমার পূর্বাভাস নয়। বরং আগামী কয়েকদিন এই অবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে আভাস আবহাওয়া অফিসের।

আবহাওয়া অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মোসাম্মৎ আয়েশা খাতুন বলেন, 'এই যে শৈত্য প্রবাহের আভাসটা চলছে এটা আরো কিছুদিন থাকবে। তারপরে তাপমাত্রা হয়তো কিছুটা বেড়ে যেতে পারে।'

ঠাণ্ডা জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। শীতজনিত রোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. রিজওয়ানুল আহসান বলেন, এ সময় বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে সকালে উঠে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। বাচ্চার যাতে ঠাণ্ডা না লাগে সেজন্য উষ্ণ আরামদায়ক কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া প্রচুর তরল খাবার খাওয়াতে হবে। জ্বর ও শ্বাসকষ্টের পরিমাণ বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে