রবিবার, ০৭ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৮:৫৩:৪৮

‘মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, আমাদের কী করার আছে?’

‘মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, আমাদের কী করার আছে?’

নিউজ ডেস্ক: গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবসময় চেষ্টা করা হয়েছে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যোগাযোগ করা হলেও প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখানে আমাদের কী করার আছে?’ তিনি আরও বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা সবসময়ই চেষ্টা করেছি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কোন কোন মন্ত্রণালয় নেবেন? আসুন, আমরা এক সঙ্গে নির্বাচন করি। কিন্তু খালেদা জিয়া ঘৃণাভরে সেটা প্রত্যাখ্যান করেন। এমনকি কোকোর (খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে) মৃত্যুর পর সহানুভূতি জানাতে  গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরও আমাদের কী করার আছে?’

রবিবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ফ্রান্সের প্রতিনিধি ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাবেক সভাপতি প্যাসকেল ল্যামির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নতুন বছরে সরকারের পরিকল্পনা কী, জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন পরিচালনা করবে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে না। প্রভাব বিস্তার করলে রংপুরে আমাদের প্রার্থী এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হারতেন না। বিএনপি নেত্রী বলেছেন, নির্বাচনে বিএনপিকে বাইরে রাখা যাবে না। এটি শুভ লক্ষণ। এর দ্বারা উনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন, বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনা করবে এবং বিএনপি তাতে অংশ নেবে। বিরোধী দলে থাকলে সরকারের প্রতি বিভিন্ন দাবি করতে হয়, তাই তারাও দাবি করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘লিখে রাখেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে, বিএনপি তাতে অংশ নেবে। সেই সময় ক্ষমতাসীন সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে।’

বৈঠক শেষে প্যাসকেল ল্যামি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশকে ২০২১ ও ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। শিক্ষার উন্নয়ন হলেই সব রূপকল্প বাস্তবায়ন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মহান নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ফ্রান্স বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের যেকোনও শুভ কাজে ফ্রান্স পাশে থাকবে।’

পাঁচ বছর পরপর ওয়ার্ল্ড এক্সপোর আয়োজন করা হয়। ২০২০ সালে আরব আমিরাত এবং ২০২৫ সালে ফ্রান্স এই আসরের আয়োজন করতে চায়। কিন্তু ২০২৫ সালের এক্সপো আয়োজনের জন্য ফ্রান্স, জাপান ও আজারবাইজান প্রস্তাব দিয়েছে। এজন্য আয়োজক নির্ধারণে ভোটাভুটি করতে হবে। ২০১৮ সালে এ ভোট হবে। ১৭০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও ভোটার। প্যাসকেল ল্যামি এ ভোটাভুটিতে ফ্রান্সের পক্ষে বাংলাদেশে সমর্থনের জন্য এসেছেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে