রবিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ০৮:০৪:২৮

সন্তানদেরকে বলে দিয়েছি কোন সম্পদ তারা পাবে না: প্রধানমন্ত্রী

সন্তানদেরকে বলে দিয়েছি কোন সম্পদ তারা পাবে না: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : আজ রবিবারে ঢাকাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে আসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  আর সেই সমাবেশেই নিজের পরিবারের পুত্র-মেয়ে সন্তানদের নিয়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যাবেন না জনিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের লেখা পড়া শিখিয়ে বলে দিয়েছি, কোনো সম্পত্তি দিতে পারব না।  একটাই সম্পদ, সেটা হলো তোমাদের লেখাপড়া, শিক্ষা।  সেটার চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু না। ’

কারণ, শিক্ষা এমন একটা সম্পদ, কেউ চুরিও করতে পারবে না, ডাকাতিও করতে পারবে না, ছিনতাইও করতে পারবে না. কেড়ে নিতে পারবে না, তার বিরুদ্ধে মামলাও দিতে পারব না, কিছুই করতে পারবে না।

নিজের এবং বোন শেখ রেহানার সন্তানদের বিষয়টি তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘গর্বের সঙ্গে এটুকু বলতে পারি বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার আর রেহানার ছেলে মেয়েরা পড়েছে। ’

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় মায়ের সঙ্গে জার্মানি-লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।  তাঁর শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে সে দেশেই।  নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ হতে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক করেছেন তিনি।  পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেন জয়।

অন্যদিকে শেখ হাসিনার মেয় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক, ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি এবং ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি লাভ করেন।  ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন।  এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়।

আর শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস্ থেকে লেখাপড়া করা জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির একজন পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে