শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ১২:৩৪:২০

কবি জীবনানন্দ দাশের ১১৯ তম জন্মদিন আজ

কবি জীবনানন্দ দাশের ১১৯ তম জন্মদিন আজ

নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব ইতিহাসে ক্ষণজন্মা প্রতিভাশীল প্রচার বিমুখ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান আধুনিক এক কবির নাম জীবনানন্দ দাস । রূপসী বাংলার এই কবির ১১৯ তম জন্মদিন আজ। শুভ জন্মদিন প্রেমির কবি জীবনানন্দ।

১৮৯৯ সালের আজকের এই দিনে তিনি বরিশালের ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বামনকাঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনানন্দ দাশের বাবা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক। মা কুসুমকুমারী দাশ ও ছিলেন একজন কবি। সাংসারিক কাজের ফাঁকে তিনিও কবিতা রচনা করতেন। জীবনানন্দ মায়ের কাছ থেকেই সাহিত্যচর্চা ও কবিতা রচনার প্রেরণা লাভ করেন।

জীবনানন্দ দাশ নিঃসন্দেহে সর্বকালের সর্বোৎকৃষ্ট নিঃসঙ্গতার কবি। তাই সাড়ে আট শত কবিতার বেশী কবিতা লিখলেও তিনি জীবদ্দশায় মাত্র ২৬২টি কবিতা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও কাব্যসংকলনে প্রকাশ করতে দিয়েছিলেন। তার জীবদ্দশায় তার নামের প্রতি কোন সুবিচার হয়নি বললেই চলে।

কখন থেকে তিনি কবিতা রচনা শুরু করেন তা জানা যায়নি। তবে ১৯৫২ সাল থেকে তার কবিতা প্রবাসী, বঙ্গবাসী, কল্লোল, কালি-কলম, বিজলী, ধূপছায়া, প্রগতি প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশ হতে থাকে। কবির উল্লেখযোগ্য রচনাবলি হলো : কাব্যগ্রন্থ বনলতা সেন, ঝরা পালক, ধূসর পাণ্ডুলিপি, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলা। গদ্যগ্রন্থ কবিতার কথা। মৃত্যুর পর তার প্রকাশিত উপন্যাস মাল্যবান, সতীর্থ।

নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলন ১৯৫২ খিস্টাব্দে পরিবর্তিত সিগনেট সংস্করণ বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থটি বাংলা ১৩৫৯-এর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ বিবেচনায় পুরস্কৃত করা হয়। কবির মৃত্যুর পর ১৯৫৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৪) সাহিত্য একাডিমি পুরস্কার লাভ করে। ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ অক্টোবর রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে কবি মৃত্যুবরণ করেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে