নিউজ ডেস্ক : আজও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সীমান্ত। শুক্রবার সকালে ফের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনারা ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে। এতে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)। ইতিমধ্যে পতাকা বৈঠকেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভয়ভীতি দেখাতে গুলিবর্ষণ করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ফলে সীমান্তে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন বিজিবি সদস্যরাও।
এ ব্যাপারে বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোনাপাড়া সীমান্তে গুলি ছুড়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভয়ভীতি দেখাতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
এ ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে রোহিঙ্গাসহ সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।
এদিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে মিয়ানমারের সেনারা ভারি অস্ত্র সরঞ্জাম নিয়ে অবস্থান করায় তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী। শুক্রবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিবিসিকে জানায়, বৃহস্পতিবার সীমান্তে ভারি অস্ত্র সরঞ্জাম নিয়ে অবস্থান নেয় মিয়ানমারের শতাধিক সেনা। একইসঙ্গে সেখানে আশ্রয় নেয়া ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সরে যাওয়ার হুমকি দেয় তারা। এর পরপরই মিয়ানমারের সেনাদের সরে যেতে অনুরোধ জানায় বিজিবি।
একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ কোরে দেশটির বিজিপি'র সঙ্গে বৈঠকের আহবান জানান তারা। তবে এতে সারা না দিয়ে নানা টালবাহানা করে সীমান্তে অবস্থানরত সেনারা। সম্প্রতি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে গত আগস্টে দেশটির পুলিশের ওপর হামলাকারীরা সীমান্তের শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
এমটিনিউজ/এসএস