মঙ্গলবার, ০৬ মার্চ, ২০১৮, ০৬:৪০:১৩

অভিযোগপত্র গ্রহণ, ৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

অভিযোগপত্র গ্রহণ, ৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী মঙ্গলবার এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলায় পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। আদালত আগামী ৫ই এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাসান আরাফাত প্রতিবেদন গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) এই অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলায় আসামি শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ জামিনে মুক্ত আছেন।

গত ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শফিক রেহমান। পরে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। শফিক রেহমানের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন মো.সানাউল্লাহ মিয়া ও মো. মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

এর আগেই সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ নির্দেশ দেন, জামিন চাইতে বিচারিক আদালতেই যেতে হবে শফিক রেহমানকে। একই সঙ্গে শফিক রেহমান আবেদন করার পর তার জামিন মঞ্জুর করার বিষয়টি বিবেচনার জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছিল আপিল বিভাগ।

দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ও সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান দুই দফায় রিমান্ড শেষে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

মামলার রিমান্ড ও গ্রেপ্তার আবেদন থেকে জানা গেছে,যুক্তরাষ্ট্রে দণ্ডিত বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের কাছ থেকে মাহমুদুর রহমানও প্রধানমন্ত্রীপুত্রের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়েছিলেন। গত বছর সিজারকে দণ্ড দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের দেয়া রায়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলের ক্ষতি করার লক্ষ্যে তার ব্যক্তিগত তথ্য পেতে আসামি এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দিয়েছিলেন।

ঘুষ দিয়ে তথ্য পাওয়ার পর তা সিজার বাংলাদেশি ‘একজন সাংবাদিককে’ তা সরবরাহ করেছিলেন এবং বিনিময়ে প্রায় ৩০ হাজার ডলার পেয়েছিলেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। ওই রায়ের পর জয়কে অপহরণের চক্রান্তের অভিযোগ তুলে ঢাকার পল্টন থানায় পুলিশ একটি মামলা করে, যাতে সিজারের বাবা প্রবাসী বিএনপি নেতা মোহম্মদ উল্লাহ মামুনসহ দলটির শীর্ষ নেতাদেরও আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে যেকোনো সময় হতে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংগঠন জাসাস এর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান গত ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।  
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে