নিউজ ডেস্ক : নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। ফ্লাইটে ৬৫ জন বয়স্ক, দুই শিশু এবং পাইলট ও ক্রু চারজন ছিলেন।
তাদের মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশি। আর এদিকে ফ্লাইটের সব যাত্রীদের নামের তালিকা করেছে। তবে এই দুর্ঘটনায় কোন বাংলাদেশি হতাহতের খবর এখনও জানা যায়নি। তবে বিধ্বস্ত এই বিমানে অভিনেতা এফ এস নাঈমের আত্মীয় ছিলেন।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা নিজেই। রোববার সন্ধার দিকে নিজের ফেসবুক পাতায় লিখেন, ‘আমার কাজিনের জন্য দোয়া করবেন। তারা ইউএস-বাংলা বিমানের ফ্লাইটে ছিলেন”
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিধ্বস্ত বিমানের আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রোপ বিমানটি ৬৭ আরোহী ও চার ক্রু নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ পুরুষ, ২৭ নারী ও দুই শিশু ছিল। এদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জন নেপালের নাগরিক।’
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোম্বারডায়ার ড্যাশ-৮ বিমানটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এতে আগুন ধরে যায়।
নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সানজিব গৌতম বলেন, বিমানটির পাইলটকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ-প্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে পাইলট। এসময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ে বিমানটি।
এমটিনিউজ/এসবি