গণজাগরণ মঞ্চের আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ
ঢাকা: একাত্ত্বরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের পর জাতীয় পতাকা হাতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।
রোববার বিকালে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে তাদের মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা ঘুরে শাহবাগে ফিরে আসে। এ সময় কেউ কেউ মিষ্টি বিরতণ করেন।
‘কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হওয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তস্নাত বাংলার মাটি আজ কলঙ্কমুক্তির পথে অগ্রসর/রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে’ স্লোগান লেখা ব্যানার নিয়ে মিছিলে যান জাগরণ মঞ্জের কর্মীরা।
মিছিলের আগে সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “এই রায় বাংলাদেশের জন্য বিরাট এক পাওয়া, বাংলাদেশের মর্যাদার জন্য বড়ো পাওয়া। কেননা যুদ্ধাপরাধের বিচার করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হল, বাংলাদেশ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল তা সারা পৃথিবীর কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।”
ইমরান এইচ সরকার আরও বলেন, ‘প্রতিহিংসা থেকে নয়, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠান জন্যই দুই যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
এই বিচারকে কেউ যদি মনে করেন, আমাদের শুধু ত্রিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে এবং তার পরর্বতী প্রজন্ম প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে বিচার করছে- তাহলে এটি মারাত্মক ভুল করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“সমাজে আইন শাসন প্রতিষ্ঠা এবং অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার জন্য এই বিচার করা হয়েছে। এই বিচার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”
যুদ্ধাপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, “এই দুই যুদ্ধাপরাধী একাত্তরে গণহত্যা চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। পাশাপাশি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তারা স্বাধীনতাবিরোধী যে চেতনা, যে অপদর্শন যাকে আমরা পাকিস্তানি দর্শন বলছি- সেই পাকিস্তানি অপদর্শন ধারণ করে পুনরায় একটি মধ্যযুগীয় শাসন করার ষড়যন্ত্র করেছে। তারা চেয়েছে এই দেশকে আবারও একটা নব্য পাকিস্তানে পরিণত করতে।”
২২ নভেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২০১৫/এসএম/ডিআরএ