মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৫, ০৫:১৬:৫৬

‘এখনই উৎকৃষ্ট সময়’

‘এখনই উৎকৃষ্ট সময়’

ঢাকা : দেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের এখনইউৎকৃষ্ট সময়। উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে দেশে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ইতিবাচক প্রচারণা চালাতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) হল রুমে ‘ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ইন বাংলাদেশ : লুকিং এহেড’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। গওহর রিজভী বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের (বিওআই) সঙ্গে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন একীভূত করে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার চিন্তা করছে সরকার। দেশে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে সম্ভাবনা-সমস্যাগুলো নিয়ে পর্যলোচনা ও গবেষণা করবে। এ লক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, আমাদের মূল সমস্যা যেকোনো বিষয়কে নেতিবাচকভাবে দেখি। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা থেকে প্রচারণা চালাতে হবে। এদেশে ব্যবসা করার জন্য এখনই উৎকৃষ্ট সময়। যাতায়াত ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। গওহর রিজভী বলেন, বর্তমানে ব্যবসা বাণিজ্যে অনেক দেশের চেয়ে আমরা এগিয়ে। ভারতের সঙ্গে আমাদের যৌথভাবে ব্যবসা করতে হবে। এতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আমাদের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিদেশি বিনিয়োগ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আনতে পারবো না। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিনিয়োগ বোর্ডের সদস্য নাবাস চন্দ্র মণ্ডল। বাংলাদেশ সুখী সম্পদশালী দেশ হতে হলে ২০১৭ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং এটা ২০২১ সাল পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে উল্লেখ করেন নাবাস চন্দ্র মণ্ডল। ১৫ শতাংশ দারিদ্র্যও কমিয়ে আনতে হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ২০ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে যেতে হবে। নাবাস চন্দ্র মণ্ডল বলেন, এদেশে কম খরচে দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায়। চীন ও ভারতের সঙ্গে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকার কারণে আন্তর্জাতিক সুবিধা পাচ্ছে। স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ গ্যাস পাচ্ছে। রফতানি ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ট্যাক্স হলিডে ডিউটি ও কোটা সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, আমরা ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগ করার জন্য বিদেশিদের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি। এসএমই খাতসহ ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ব্যাংক লোন কমে এসেছে। এর ফলে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে মোট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ২০৫৮ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আগামীতে এসব সুযোগ সুবিধা আরো বাড়িয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআইয়ের সভাপতি হোসেন খালেদ। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের কান্ট্রি চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবরার এ আনোয়ার, জিই ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি লিডার শ্রীনাথ ভেনকাথেস, আইএফসি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম মাশরুর রিয়াজ প্রমুখ। ২৪ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে