মোছাব্বের হোসেন : দূর থেকে দেখে অনেকটা হাতির মতো মনে হলেও আসলে এটি বিশাল আকারের কালো রঙের একটি গরু। গায়ে গতরে বেশ উঁচু আর স্বাস্থ্যবান। উৎসুক মানুষ কেবলই দেখছেন, পাশে গিয়ে মুঠোফোনে ছবিও তুলছেন কেউ কেউ। দাম শুনে গরুটির দিকে তারা আরও মনোযোগ দিয়ে বারবার তাকাচ্ছেন। গাবতলীর হাটে শনিবার তোলা এই গরুর দাম হাঁকানো হয়েছে ২২ লাখ টাকা।
আজ দুপুরে গাবতলী পশুর হাটে গিয়ে কথা হয় গরুটির মালিক আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। আলমগীর এই গরুটিসহ মোট ১১টি গরু নিয়ে আজ সকালেই কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় এসেছেন।
তিনি বলেন, তিন বছর আগে তিনি গরুটি কিনেছিলেন পাবনা থেকে। তখন এই গরুর বয়স ছিল এক বছর। অস্ট্রেলিয়ান চার বছর বয়সী ছয় দাঁতের এই গরুটির উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট আর লম্বায় এটি নয় ফুট। গরুটির ওজন প্রায় ৩২-৩৩ মণ। আলমগীর বলেন, মানুষ দাম শুনছে, কেউ কিনতে চায়নি। ২০ লাখ হলে বিক্রি করব।
আলমগীর তার আনা গরুগুলোর মধ্যে একটি গরুর দাম ২০ লাখ এবং আরেকটির দাম ১৮ লাখ টাকা হেঁকেছেন। তার আনা গরুর মধ্যে সর্বনিম্ন দাম ছয় লাখ টাকা।
গরুকে কি খাওয়ান? এমন প্রশ্নে আলমগীর বলেন, এই গরুকে তিনি নিয়মিত ছোলা, ছোলার খোসা, খেসারি কলাইয়ের ডাল, গমের ভুসি খাওয়ান। কোনো মোটাতাজা করার ওষুধ খাওয়াননি বলে দাবি করেন তিনি। তার দাবি, এই গরুগুলো লালনপালন করতে অনেক খরচ হয়। তাই দামও বেশি। তবে কিছু গরু তিনি পাবনা, সিরাজগঞ্জের হাট থেকেও কিনেছেন।
আলমগীরের গরুটি দেখতে আসছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। গাবতলী হাটে ঢোকার মুখেই পুলিশ বক্সের পাশেই গরু নিয়ে বসেছেন তিনি। যারা গরু কিনতে আসছেন বা দেখতে আসছেন একবারের জন্য হলেও এখানে আসছেন এই বিশাল আকারের গরুটি দেখতে। কেউ কেউ ছবিও তুলে নিচ্ছেন। মিরপুর মাজার রোড থেকে দুই বন্ধু নাহিদ ও আকাশ এসেছিলেন গাবতলী হাটে গরু দেখতে। এসেই এত বড় আর দামি গরু দেখে গরুর ছবিও নিচ্ছিলেন। তারা বলেন, এই জীবনে এত বড় আর দামি গরু দেখিনি। তাই ছবি তুলে নিচ্ছি।
গরুর দাম শুনে মধ্য বাড্ডা এলাকার মিজানুর রহমানের আক্কেলগুড়ুম অবস্থা। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, একটা গরুর দাম এত হতে পারে না কি? এটা কে কিনবে তাকে দেখার বড় আশা ছিল।-প্রথম আলো
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে