শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০৩:১৪:০১

চাহিদা ১১৭ আসন বিএনপি দিতে চায় ৩৫টি

চাহিদা ১১৭ আসন বিএনপি দিতে চায় ৩৫টি

শাহানুজ্জামান টিটু : সামনে নির্বাচনে। দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তসহ জোট শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। এরমধ্যেই ২০ দলীয় জোটের শরিকরা বিএনপির কাছে ১১৭টি আসন চেয়েছে । তাদের প্রার্থী তালিকা ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানের কাছে দিয়েছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জোটের শরিকদের আসন বন্টনের বিষয়টি সম্পন্ন করবে। এরমধ্যে বিএনপির সঙ্গী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গেও আসন ভাগাভাগির বিয়য়টিও মিমাংসা করতে চায় বিএনপি। ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি বিএনপির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

২০ দলীয় জোটের শরিকদের চাহিদা ১১৭ আসনের বিপরীতে বিএনপি ৩৫ থেকে ৪০টি আসনে ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে। এই জোটে দলের সংখ্যা ২৩টি। এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে দল রয়েছে ৪টি। সব মিলিয়ে ২৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আসন বন্টন করতে হবে বিএনপিকে।

যেসব প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা বেশি তাদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, আসন বন্টন নিয়ে আমরা এখনো আলোচনা করিনি। শরিকদলগুলোর সঙ্গে বসে তা করা হবে। জোটের শরিকদল তাদের চাহিদার কথা আমাদের জানিয়েছেন। এসব নিয়ে আমরা আলোচনায় বসবো। সময় আছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জোট ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে আসন বন্টন নিয়ে সমস্যা হবে বলে মনে করি না। আমরা সবাই এক প্লাটফর্মে এসেছি। ছাড় দেওয়ার মানষিকতা আমাদের সকলের মধ্যেই আছে।

জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী আসন দাবি করেছে ৫০। এলডিপি-৩০( সংশোধিত তালিকায়-১২), কল্যাণ পার্টি ১২, জাতীয় পাটি (জাফর) ১৬, বিজেপির চাওয়া ৩টি, খেলাফত মজলিস ৪টি আসন চেয়েছে।

সূত্র জানায়, জামায়াত ৫০টি আসনের দাবি করলেও তাদেরকে ২০ আসন ছাড়তে চায় বিএনপি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াতকে ৩৫ আসন দিয়েছিল বিএনপি। ওই নির্বাচনে জামায়াতকে যেসব আসনে ছাড় দিয়েছিল ওইসব আসনে জামায়াতের বিজয়ী প্রার্থী ও ভোটের সংখ্যা বিবেচনা করা হবে। চট্টগ্রামে দুটি, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, বগুড়ায় একটি করে আসন ছাড় দিতে পারে। এছাড়া রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বেশ কয়েকটি আসন দিতে পারে বিএনপি।

এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমেদ- চট্টগ্রাম-১, রেদোয়ান আহমেদ-কুমিল্লা-৭ ও শাহাদাত হোসেন সেলিমকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে ছাড় দিতে পারে। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমকে চট্টগ্রাম-৫ আসনটি ছাড় দেয়া হতে পারে। জাতীয় পাটিকে দুটি আসন দেয়া হতে পারে। পাটির চেয়ারপারসন জয়া কাজীকে কুমিল্লা-১৪, বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে ভোলা-১ আসনটি ও খেলাফত মজলিসকে একটিতে ছাড় দেয়া হতে পারে। সম্পাদনা : মাহবুব আলম
সূত্র: আমাদেরসময়.কম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে