নিউজ ডেস্ক : গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা মামলায় মামলা রেকর্ডকারী পুলিশ কর্মকর্তা তৎকালীন গুলশান থানার ওসি (বর্তমানে শাহ আলী থানার ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে বুধবার তিনি এ সাক্ষ্য দেন।
তার জবানবন্দি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাকে জেরা করেন। জেরা শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। সালাউদ্দিন মিয়া আদালতে বলেন, তিনি ঘটনার দিন হলি আর্টিজানে গোলাগুলির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে এসআই ফারুকসহ অনেককেই দেখতে পান। রেঁস্তোরার ভেতর থেকে সন্ত্রাসীদের আল্লাহু আকবর ধ্বনি, গুলি ও বোমার শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এরপর পুলিশ হলি আর্টিজানের আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড ও গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এতে ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিনসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন আহত হন। কিছুক্ষণ পরই সালাউদ্দিনের মৃত্যুর খবর আসে। পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
সন্ত্রাসীরা দেশি-বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করে। লাশগুলো উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ওই ঘটনায় এসআই রিপন কুমার দাস মামলাটি করেন। ওই সময় তিনি মামলার রেকর্ডিং অফিসার ছিলেন। এ নিয়ে মামলায় ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দুই পুলিশসহ দেশি-বিদেশি ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ডে’ পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়।