ড. মঈন খানের আহ্বান
ঢাকা : রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে অর্জিত গণতন্ত্রকে বিদায় দিয়ে নতুন মোড়কে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন কায়েম করা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ১৯৭২-৭৫ সালের বাকশালকেও ছাড়িয়ে গেছে।
রোববার বিকেলে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
তিনি বলেছেন, দেশে আজ কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা নেই। সরকারের অনিয়মের বিরুদ্ধেও কেউ কথা বলতে পারছে না। পুরো দেশ যেন কারাগারে পরিণত হয়েছে।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একাত্তর সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু আজ স্বাধীনতার ৪৪ বছরেও আমরা সেই চেতনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কণ্ঠের ভাষা, গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক উন্নতি কেড়ে নেয়া হয়েছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে ঠিকমতো বিজয় দিবস উদযাপন করা যায় না। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র আজ মৃত, মানবাধিকার লুপ্ত, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার নেই। সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিত্বহীন বর্তমান সরকারের অধীনে মেগা প্রকল্প চলছে। দুর্নীতির প্রসার হচ্ছে। লাভবান হচ্ছে গুটি কয়েক লোক।
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে এবং মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আগামীদিনের আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির হোসেন।
বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের দফতর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রফিক হাওলাদার, সাহাবুদ্দিন ফারুক, উজ্জল প্রমুখ।
সভাস্থলে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিট ও থানা শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াসিন আলী, ওয়াসেক বিল্লাহসহ গ্রেফতারকৃত অন্যান্য নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় সভায়।
২০ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম
�