ঢাকা : কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচনায় নিখোঁজ সাংবাদিক আওরঙ্গজেব সজীব। অনুসন্ধানের পর আর সেই হাসি মুখের সজীবকে কিন্তু উদ্ধার করা যায়নি!
নিথর একটি দেহ পরে আছে। স্বজনদের আহাজারি আর নির্বাক সাংবাদিক সজীব! তিন দিন ধরে ঘুম হারাম ছিল সিনিয়র সাংবাদিক সজীবের স্ত্রী-কন্যাসহ স্বজনদের।
সেই সজীব সন্তানদের সামনে ফিরলেন লাশ হয়ে। বুধবার বিকাল তিনটার দিকে ধলেশ্বরী নদী থেকে সজীবের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি ইউনুছ আলী এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।
গত রোববার সকাল সোয়া নয়টার পরেই নিখোঁজ হন সজীব। নয়টার দিকেও ইনডিপেনডেন্ট টিভির লাইভ নিউজ টেলিকাস্টিংয়ে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে ভয়েজ দেন তিনি।
সেদিন সকাল সোয়া নয়টার দিকে তিনি নাকি সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া তাকওয়া লঞ্চে ওঠেন। ওই লঞ্চের কেরানী ফরিদ হোসেন এর প্রমানাদিও দেখান পুলিশের কাছে।
চাঁদপুরগামী ওই লঞ্চটি মুক্তারপুর এলাকায় পৌঁছলে সজীব তার কাগজপত্র রেখে নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে লঞ্চটি চাঁদপুর পৌঁছলে সেখানে দায়িত্বরত নৌপুলিশের এএসআই এরশাদের কাছে সজীবের কাগজপত্র জমা দেয় লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনার সূত্র ধরেই পুলিশ সজীবের সন্ধানে নামে। পরে ভাসমান অবস্থান পাওয়া যায় সজীবের লাশ। সাংবাদিক সজীবের এমন মৃত্যুতে সাংবাদিকসহ সর্বাঙ্গনেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঢাকা মেডিক্যাল বিটের সাংবাদিকরা বুঝে উঠতে পারছেন না কিছুই। এই ঘটনার পিছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে ডিবি পুলিশকে জানিয়েছেন তারা। ঘটনার সঠিক তদন্ত করার জন্য আহবান জানান বিক্ষুদ্ধ সাংবাদিকরা।
২৩ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর