নিউজ ডেস্ক : যুব মহিলা লীগের বহি'ষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার শেখ তাইয়েবা ওরফে নূর হাই সোসাইটিতে একাধিক নামে পরিচিত। কোথাও তিনি শুধু নূর, আবার কোথাও তিনি নিশি নামেই বেশি পরিচিত। রাজধানীর অভিজাত ক্লাব ও ম'দের বারে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল।
শেখ তাইয়েবার সাবেক এক বয়ফ্রেন্ড বলেন, সাধারণত রাত ৮টার পর তিনি ক্লাবে আসতেন। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে হলেও বনানী এলাকায় রয়েছে নিজস্ব ফ্ল্যাট। একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের মালিকের ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে গু'ঞ্জ'ন রয়েছে।
একাধিক প্র'ভা'বশালীরা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে থাকলেও পাপিয়ার ফোন এলে তাৎ'ক্ষণিক ফোন ধরেন। জনৈক সচিবের কাছে জান্নাতুল মাওয়া নামের এক তরুণীকে পাঠাতেন পাপিয়া। সচিব তার মোবাইল ফোনে ওই তরুণীর মোবাইল নম্বর সেভ করেন 'মাওয়া ফেরিঘাট নামে'। যাতে স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যরা তার লা'ম্পট্যের বিষয়টি কখনও টের না পান।
পাপিয়াকাণ্ডে আলোচনার তুঙ্গে থাকা গুলশানের পাঁচতারকা হোটেল ওয়েস্টিনের ম'দ বে'চাকে'নার যাবতীয় তথ্য তলব করেছে মা'দকদ্রব্য নিয়'ন্ত্রণ অধিদফতর (নারকোটিক্স)। একই সঙ্গে হোটেলে আগত অতিথিদের কাছে কীভাবে ম'দ সরবরাহ করা হয়, তাও জানাতে বলা হয়েছে ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মা'দকদ্রব্য নিয়'ন্ত্রণ অধিদফতরের গুলশান সার্কেলের ইন্সপেক্টর শামসুল কবির বলেন, ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বলেছে তারা শুধু পা'রমি'টধা'রী ও বিদেশি নাগ'রিকদের কাছেই ম'দ বিক্রি করে। তবে আমরা বিষয়টি গভীরভাবে ত'দ'ন্ত করে দেখব। কারণ, আইন অনুযায়ী অনুমো'দিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও কাছে ম'দ বিক্রির সুযোগ নেই।
এদিকে পাপিয়ার ডে'রায় আগত একাধিক ভিআইপির নাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাই'রাল হওয়ায় সারা দেশে চা'ঞ্চ'ল্য সৃষ্টি হয়েছে। সমাজের এসব হাইপ্রোফাইল ভিআইপির আসল চরিত্র ফাঁ'স হয়ে পড়ায় তাদের অ'ন্ধকার জগৎ নিয়ে আমজনতার কৌ'তূহলের শেষ নেই। মু'খরো'চক আলোচনা এখন চায়ের দোকান থেকে শুরু তরে অলিগলি সবখানে।
এ ছাড়া শুধু ওয়েস্টিন নয়, রাজধানীর অভিজাত এলাকায় পাপিয়ার আরও অনেক অভিজাত ফ্ল্যাটের স'ন্ধা'ন মিলেছে। যাদের মধ্যে মহিলা যুবলীগের আরও কয়েকজনের আমলনামা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। শিগগির তাদের বি'রু'দ্ধেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অ'ভিযা'ন শুরু হবে। ইতিমধ্যে সন্দে'হভা'জনদের ন'জ'রদা'রির মধ্যে আনা হয়েছে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে সমাজের যেসব ডাকসাইটে দুর্নী'তিবা'জ আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পাপিয়াদের ডে'রায় প্রটো'কল ছাড়া হা'জির হতেন, তারা এখন গো'পন ভিডিও ফাঁ'সের আ'ত'ঙ্কে আছেন। তাদের ধারণা, পাপিয়ার সহযোগীরা যে কোনো সময় তাদের গো'পন ভিডিও ক্লি'প ছেড়ে দিতে পারে। এমনটা হলে অনেকেরই অবস্থা হবে জামালপুরের আলোচিত ডিসি আহমেদুল কবিরের মতো।
সূত্র জানায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ওয়েস্টিন হোটেলে দুটি বিশেষ পার্টির আয়োজন করা হয়। এর একটি ২৩ তলায়। অপরটির আয়োজন হয় হোটেলের ৬ তলায় সুইমিং পুলঘেঁষা বারে। এ দুই পার্টির আয়োজক ছিলেন জনৈক জুডো এবং ডিজে প্রিন্স। এর মধ্যে ৬ তলার পুল সাইড বারের ভেন্যুটি শেষ মুহূর্তে পাপিয়াকে দেয়ার জন্য ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষ জুডোর বুকিং বা'তিলের চেষ্টা করে। ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষ এ জন্য বুকিংয়ের দ্বি'গু'ণ অর্থ ফেরতের প্রস্তাব দেয়। পরে জানা যায়, মাত্র ২০ জন আমন্ত্রিত অতিথি নিয়ে বিশেষ পার্টির আয়োজন করার কথা ছিল পাপিয়ার।
সূত্র জানায়, পাপিয়া দরিদ্র ঘরের অনেক তরুণীকে চাকরির প্রলো'ভন দিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এরপর চড়া মেকআপ আর পাশ্চাত্য পোশাকে তাদের অনেককে মডেল বানানো হতো। পেশাদার ফ্যাশন ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবি তোলায় গ্রামের তরুণী রাতারাতি শোবিজের মডেলে পরিণত হন। এসব কথিত মডেলের ছবি ক্ষ'মতাধ'র ব্যক্তিদের ভাইবার, হোয়্যাটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে পাঠাতেন পাপিয়া। পছন্দ হলে বুক করার জন্য পাপিয়াকে অ'নুরো'ধ করতে হতো।
সূত্র বলছে, এভাবে গ্রাম থেকে আসা অনেক তরুণী পাপিয়ার অপ'রাধ জগতে মিশে নিজেদের ভাগ্যের চাকা রাতারাতি ঘুরিয়েছেন। আবার অনেকেই চাকরির খোঁ'জে পাপিয়ার কাছে ধ'রা দেয়ার পর এই নরকে পা রাখতে বা'ধ্য হয়েছেন। তাদের কেউ কেউ পা'পের জগৎ থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলেও পারেননি। কারণ, তাদের কারও কারও একান্ত মুহূর্তের ভিডিও গো'পনে ধারণ করে রাখেন পাপিয়া। এসব ভিডিও প্রকাশের ভ'য় দেখিয়ে অনেক তরুণীকে ব্ল্যা'কমে'ইল করেন তিনি। সূত্র : যুগান্তর