নিউজ ডেস্ক : দুই বছরেরও বেশি সময় কা'রাভোগের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে কারাবন্দি ও চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বুধবার বিকালে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
হাসপাতাল ত্যা'গের আগে বিএসএমএমইউর মেডিসিন অনুষদের ডিন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ঝিলন মিয়া সরকারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা শেষবারের মতো তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন।
দীর্ঘ কা'রাভোগের পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার আগে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে মেডিকেল বোর্ড প্রধান ঝিলন সরকার জানান, বেগম খালেদা জিয়া বেশ ভালো শরীর নিয়েই হাসপাতাল থেকে বাসায় যাচ্ছেন। আজ দুপুরে তার ডায়াবেটিস ছিল ৯ দশমিক ৩ এবং উচ্চ র'ক্তচা'প স্বাভাবিক ছিল।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া মূলত আর্থ্রাইটিস জনিত সম'স্যায় ভু'গছেন। এ কারণে তার হাঁটাচলায় কষ্ট হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালে তারা অনেকবার আর্থ্রাইটিস রোগের আধুনিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত বায়োলজিক্যাল ড্রাগ (ইনজেকশন ও মুখে খাওয়ার ওষুধ) ব্যবহারের জন্য বেগম জিয়ার অনুমতি চাইলেও তিনি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে এমন আশ'ঙ্কায় ওই চিকিৎসা নিতে রাজি হননি। আজ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তার ব্যবস্থাপত্রে ওই বায়োলজিক্যাল ড্রাগ চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ডা. ঝিলন জানান, এ বায়ো'লজিক্যাল ট্রাকটি ইনজেকশন এবং মুখে খাবার ওষুধ দুইভাবেই গ্রহণ করা যাবে। তবে এ চিকিৎসা শুরুর আগে তাকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ইন'ফ্লুয়ে'ঞ্জা ও নিউমো'নিয়ার টিকা নিতে হবে। তারপর হয় ১৫ দিন পর পর একটি করে ইনজেকশন কিংবা মুখে খাওয়ার ওষুধ প্রতিদিন খেতে হবে। নতুন করে বায়োলজিক্যাল ড্রাগ চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ ছাড়া ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় দুপুর ও রাতে দুইবেলা ২৪ ও ২২ মিলিগ্রাম ইনসুলিন গ্রহণ এবং উচ্চ র'ক্তচা'পসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিয়েছেন।
তিনি বাসায় ফিরে ব্যক্তিগত চিকিৎসকসহ অন্যান্য চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। মেডিকেল বোর্ড প্রধান জানান, তিনি আজ সরাসরি বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাননি। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে তিনি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন এমন সংবাদে আজ দিনভর বিএনপির শীর্ষ নেতা ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য মানুষ ভিড় জমান। মেডিকেল বোর্ডের অন্যান্য কয়েকজন সদস্য আজ দুপুরে তাকে দেখতে যান। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বোর্ড প্রধানকে অবহিত করেন।