নিউজ ডেস্ক : মহামা'রি করোনাভাইরাস সং'ক্রমণের ভ'য়ে চলতি বোরো মৌসুমে জেলার অন্যান্য উপজেলার ন্যায় হাওরের ধান কা'টা (ধাওয়ালী) শ্রমিক সংকট দেখা দিলে জামালগঞ্জের কৃষকদের মধ্যে আগাম বন্যা ও অকাল বৃষ্টির আগেই বোরো ধান কে'টে ঘরে গোলায় তোলা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল অফিসিয়াল ও ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজনকে কৃষকদের ধান কে'টে দেয়ার আহ্বান জানান। আর ইউএনওর আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাওরে ধান কা'টায় নেমে পড়লেন শত শত মানুষ।
ইউএনও’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপজেলায় দশ পয়েন্টে আটটি দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন হাওরে কাস্তে (কাঁচি) হাতে ধান কা'টায় নেমে পড়েন। দিনব্যাপী উপজেলার বৃহৎ পাগনার, হালি ও মহালিয়া হাওরে উপজেলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আনসার সদস্য, নৌ পরিবহন শ্রমিক, বালু পাথর শ্রমিকরা ধান কা'টায় অংশ নেন।
ভবিষ্যতে দেশে যাতে খাদ্য সং'কট সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের হাওরাঞ্চলের কৃষকদের পাকা বোরো ধান আগাম বন্যা বা অকাল বৃষ্টির পানিতে ত'লিয়ে যাবার আগেই গোলায় তোলার নির্দেশনা দেন।
ইউএনও প্রিয়াংকা পাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ধান কা'টায় অংশ নিয়েছেন। আশা করি, আগাম বন্যা আসার আগেই ধান কে'টে কৃষকের গোলায় তুলে দেয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ সরেজমিনে জামালগঞ্জ এসে উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ধান কা'টা কার্যক্রম তদারকি করে গেছেন। এতে করে ধান কাটায় অংশ নেয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও ধান কাটা শ্রমিকরা অনেকটা উৎসাহিত হয়েছেন।