একই সুর আ.লীগ-বিএনপির!
নিউজ ডেস্ক : পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে একই সুর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ (এলডিপি) নির্বাচনে অংশ নেয়া সব দলের। নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা নির্বাচন কমিশন বললেও অভিযোগ পিছু ছাড়ছে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ মঙ্গলবার ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এসময় ইসির বিরুদ্ধে বিমাতাসুলভ আচরণের অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি সংসদে নেই। তাই স্বাভাবিক কারণেই দলটির প্রতি সদয় আচরণ করছে ইসি। কিন্তু এটা করতে গিয়ে ইসি আওয়ামী লীগের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করবে এমনটা প্রত্যাশিত ছিল না।
তিনি বলেন, পৌর নির্বাচন দলীয়ভাবে হচ্ছে বিধায় মানুষের মধ্যে আগ্রহ আছে। নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে হয় তা আশা করেছিলাম। কিন্তু কয়েকটি জায়গায় দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর আঘাত এসেছে। কিছু কিছু জায়গায় বিমাতাসুলভ আচরণ করছে ইসি।
এদিকে বিএনপির তরফে বরাবরই বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লেজুরবৃত্তি হয়ে কাজ করছে। বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের ওপর বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। সরকারি দলের এমপি-মন্ত্রীরা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও নীরব থাকছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হলে যে ফলাফল হয় আমরা তা মেনে নেব। ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, দেশের জনগণের আস্থা ফেরাতে বিএনপি সুষ্ঠুভাবে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল যেন পাল্টে ফেলা না হয় সে ব্যাপারে বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করেছে।
ভোটার যেন নিঃসংকোচ-চিত্তে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারেন এবং ফলাফল যদি সেই ভিত্তিতে হয়, যদি রেজাল্টশিট কোনো নির্দেশে পূর্ব নির্ধারিত না হয়, তাহলে সেই নির্বাচনকে স্বাগত জানাবে বিএনপি।
তিনি বলেন, গত ছয় সপ্তাহে ৫ হজারেরও অধিক বিএনপির নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করে জেলে রাখা হয়েছে, যাতে তারা নিবাচনী কর্মকান্ডে অংশ নিতে না পারে। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে যে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন দেখবেন বলে জানিয়েছে।
অন্যদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম এক বিবৃতিতে বলেছেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়ার কারণে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অথচ প্রশাসন নীরব। বাংলাদেশের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এমন অবস্থা বিরাজ করছে যে, সকাল হওয়া লাগবে না রাতের আঁধারেই ভোট কেটে নেবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।
আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো পার্টির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন কর্নেল অলি আহমদ।
তিনি বলেন, প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে সারাদেশসহ চন্দনাইশের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র দখলের উদ্দেশ্যে ঘোরাঘুরি করছে। ভোট কেন্দ্রের পাশে তারা অবস্থান নিয়েছে।
এরই মধ্যে গত মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের সব প্রকার প্রচার প্রচারণা। সবকিছু ঠিক থাকলে রাত পোহালেই বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৩৪ পৌরসভায় একযোগে শুরু হবে ভোট।
নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ রাখতে এর মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় মাঠে টহল শুরু করেছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও আনসারসহ লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে দ্রুত ফলাফল প্রেরণ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটের ঠিক দু’দিন আগে অধিকাংশ রিটার্নিং কর্মকর্তা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য বিজিবি মোতায়েনের চাহিদাপত্র দেয়ায় ২২৮ পৌরসভায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাকি ৬ উপকূলীয় পৌরসভায় কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। এ নির্বাচন উপলক্ষে পৌরসভা এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিজিবি-র্যাব-কোস্ট গার্ড ও পুলিশ, যারা মাঠে থাকবেন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেয়া, ফলাফল ঘোষণা ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে এসব নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার সকাল থেকেই মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, সবমিলিয়ে এ নির্বাচনে প্রায় লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকছে। এর মধ্যে ভোটের দিন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্বে থাকবেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচনে বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা নির্বাচনী মাঠে থাকছে।
এছাড়া ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার-ভিডিপি ও ব্যাটালিয়ন আনসার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, র্যাব, এপিবিএন, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরাও থাকছে। নির্বাচনে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পুলিশ,র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার, ব্যাটালিয়নের আনসারে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০৪ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। মাঠে থাকছে ১ হাজার ২০৪ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
দ্রুত ফলাফল পাঠাতে রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা : পৌর নির্বাচন ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে দ্রুত ফলাফল পাঠাতে রিটার্নিং অফিসারদের বিশেষ নির্দেশনা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার বিকেলে এ বিশেষ নির্দেশনা সব রিটার্নিং অফিসারকে পাঠানো হয়েছে বলে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা ও পরবর্তী সময়ে যাতে সহিংসতার সৃষ্টি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
ভোটার ও ভোটকেন্দ্র : এ নির্বাচনে ৩ হাজার ৫৫৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে। এসব ভোট কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ২১ হাজার ৭১। এ হিসাবে প্রতি কেন্দ্রে ১জন করে ৩ হাজার ৫৫৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, প্রতি বুথে ১ জন করে ২১ হাজার ৭১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রতি বুথে ২ জন করে ৪২ হাজার ১৪২ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মোট ভোটার রয়েছে প্রায় ৭১ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ২৮৪ জন এবং নারী ভোটার ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬০ জন। ভোট গ্রহণ করবেন ৬৬ হাজার ৭৬৮ জন কর্মকর্তা।
মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত পদের ব্যালট পেপার, সিল, ফরম প্যাকেট ও অন্যান্যনির্বাচন সামগ্রী নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছেছে। নির্বাচনের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত পদের ২ কোটি ১৩ লাখের বেশি ব্যালট পেপার, ভোট দেওয়ার সিলসহ নির্বাচন সামগ্রী পাঠিয়েছে ইসি। এসব পৌরসভায় মোট ভোটকেন্দ্রের এক-তৃতীয়াংশ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত পদের ব্যালট পেপার, সিল, ফরম প্যাকেট ও অন্যান্য নির্বাচন সামগ্রী নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছেছে। আজ সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পোঁছে যাবে সব মালামাল। এসব পৌরসভায় তিন হাজার ৫৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ১৮৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইসি।
নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি : নির্বাচনের কারণে ২৩৪টি পৌরসভায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ফলে নির্বাচনী এলাকায় সব অফিস বন্ধ থাকবে।
বহিরাগতদের অবস্থান ও বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ : সোমবার রাত ১২ টার মধ্যেই বহিরাগতদের (যারা ভোটার বা বাসিন্দা নন) নির্বাচনী এলাকা ত্যাগে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ভোটের দুইদিন আগে থেকে পরবর্তী আরো চারদিন পর্যন্ত অস্ত্রের লাইসেন্সধারীরা যাতে অস্ত্রসহ চলাচল করতে না পারে সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
৪৮ ঘণ্টা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : নির্বাচনী এলাকায় ভোটের আগের রাত অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু করে মোট ৪৮ ঘণ্টা যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা (দিবাগত মধ্যরাত) থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২ টা পর্যন্ত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এরই মধ্যে এ নির্দেশনা জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। নির্বাচনী এলাকায় গত ২৭ ডিসেম্বর রাত ১২ টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
নির্বাচনে প্রার্থী : ২৩৪ পৌরসভা নির্বাচনে ২০টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মেয়র পদে ৯৪৫ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে রয়েছে ১১ হাজারের বেশি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার ভোটে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকা-ধানের শীষ নিয়ে ২২২ প্রার্থী। নারী মেয়র প্রার্থী ২০ জন ভোটে রয়েছেন। ২০টি দল অংশ নিচ্ছে। এর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ২৮৮ জন।
অবশ্য ২৩৪ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ২২৭ জন ও বিএনপির ২২৩ জন ও জাতীয় পার্টির ৭৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে। মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় এ দুই প্রধান দল কয়েকটি পৌরসভায় মুখোমুখি না থাকলেও শরিকদের সঙ্গে লড়বে। এতে অর্ধশতাধিক আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিদ্রোহীরা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া এলডিপির একজন, জেপির ৬ জন, সিপিবির ৪ জন, ন্যাপের একজন, ওয়ার্কার্স পার্টির ৮ জন, বিকল্পধারার ১ জন, জাসদের ২১ জন, বাসদের একজন, তরিকত ফেডারেশনের ১ জন, এনপিপির ১৭ জন, পিডিপির একজন, ইসলামী ঐক্যজোটের ১ জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ১ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫৭ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৩ জন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১ জন, খেলাফত মজলিসের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৪১ জনের মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪০ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
২৯ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম