মঙ্গলবার, ০৯ জুন, ২০২০, ০৯:৫৯:২৭

করোনার চিকিত্সায় এই ঘটনা নজিরবিহীন, অনিবার্য মৃ'ত্যু থেকে বাঁচিয়ে তুলল 'একমো'

করোনার চিকিত্সায় এই ঘটনা নজিরবিহীন, অনিবার্য মৃ'ত্যু থেকে বাঁচিয়ে তুলল 'একমো'

নিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সোজা আঘা'ত ফুসফুসে। অ'কেজো করে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা। ফুসফুস তার কর্মক্ষমতা হা'রালেই মৃ'ত্যু অনিবার্য। আর সেই মৃ'ত্যুর গ্রাস থেকে ২৪ বছরের এক তরুণীকে ফিরিয়ে আনলেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকরা। করোনার চিকিত্সায় এই ঘটনা নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে।

গত ১৭ মে জ্বর এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন কালিঘাটের ওই তরুণী। হাসপাতালে যখন তাঁকে ভর্তি করা হয়, শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ মাত্র ৩৪ শতাংশ। ফুসফুস প্রায় তার কর্মক্ষমতা হা'রিয়েছে। তড়িঘড়ি করে তাঁকে ভেন্টিলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন তাতেও কাজ হচ্ছে না ১৮ মে তাঁকে একমো সার্পোট দেওয়া হয়।  

প্রায় ১০ দিন পর একমো সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ধীরে ধীরে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট থেকে বের করে আইসিইউ এবং আইসিইউ থেকে এইচডিওতে নেওয়া হয়। অবশেষে ওই তরুণীকে সুস্থ করে তোলে হাসপাতালটি। 

করোনা আক্রা'ন্ত কোনো রোগীকে একমো সাপোর্ট দিয়ে বাঁচানোর ঘটনা কলকাতার শহরে এই প্রথম।  এমনটাই দাবি চিকিত্সকদের।

ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডক্টর শাশ্বতী সিনহা বলেছেন,  “কোনোভাবেই আমরা এই মেয়েটিকে বাঁ'চাতে পারবো ভাবতে পারিনি। চেষ্টা করেছি। আমরা দলগতভাবে কাজ করেছি। অবশেষে সাফল্য এসেছে। ১৭ মে যখন ওকে এমার্জেন্সি আনা হয়, করোনা আক্রা'ন্ত হয়ে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা প্রায় শেষের দিকে। ভেন্টিলেশন সাপোর্ট তো কোনও ভাবে তার শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছিল না। তখন আমরা তাকে উপুড় করে শুইয়ে যে পদ্ধতিতে কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো সম্ভব হয়, সেই চেষ্টা করি। তাতে সফল না হওয়ায় আমরা ১২ দিন ধরে একমো সাপোর্ট দিই।”

এদিকে ওই তরুণীর বাবা বলেন, “আমরা একটা সময় ধ'রেই নিয়েছিলাম মেয়েকে আর ফিরে পাচ্ছি না। কারণ ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিয়েও তার কাজ হচ্ছিল না। শরীরের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পৌঁছছিল না। ১৭-মে রাত্রি বেলা থেকেই এই সাপোর্ট দিতে হয়েছিল। আজ আমরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। আনন্দের ভাষা নেই।”

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে