শনিবার, ১৩ জুন, ২০২০, ১২:৩০:১৩

মাটির ঋণ শোধ করতে এসেছি, সুযোগ না দিলে ফিরে যাব : ডা. ফেরদৌস

মাটির ঋণ শোধ করতে এসেছি, সুযোগ না দিলে ফিরে যাব : ডা. ফেরদৌস

হায়দার আলী : ''ডাক্তার শাহেদ ইমরানের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করেছিলাম। যে টিমের সদস্যরা মাঠে থেকে করোনা আক্রা'ন্ত মানুষের সেবা দেবেন। এছাড়া এই টিমের সদস্য হয়ে মেডিক্যাল কলেজের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করবেন। রোগীদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খোঁ'জ নেওয়া হবে রুটিন মাফিক। কিছু টিম আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও সেবা দেবে। দেখুন বাংলাদেশের ডাক্তারা অবশ্যই বিশ্বমানের। তাদের আত্মত্যা'গের কোনো কমতি নেই।''

এই কথাগুলো বলছিলেন নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসা আলোচিত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার।  দেশে আসার পর গত রবিবার থেকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তিনি। ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে রাখা হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, ''বাংলাদেশের ডাক্তারা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে জীবনের ঝুঁ'কি নিয়ে কাজ করছেন। তাদের কথাগুলো হয়তো মিডিয়ায় খুব বেশি প্রচার পায়নি। তারাই এই করোনা যু'দ্ধের জেনারেল আর সেক্টর কমান্ডার। আমি তাদের টিমের একজন সৈনিক হয়ে যু'দ্ধে অংশ নিতে এসেছি।''

ফেরদৌস খন্দকার বলেন, আমি মানুষের ভালোবাসার টানে এসেছি, দীর্ঘ সময়ের জন্য আসিনি। আমার তো দেশে ফেরত যেতে হবে। কিন্তু কোয়ারেন্টিনে ব'ন্দির মতো চলে গেলো ছয়দিন সময়, ১৪ দিন যদি কোয়ারেন্টিনেই থাকতে হয়, তাহলে সেবার দেওয়ার সময় কোথায় পাব? যদিও অ্যান্টিবডি পজি'টিভ থাকার পরো আমাকে এখানে রাখা হয়েছে। দেখুন আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্র রাজনীতি করে আসছি, বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধা'রণ করি। আমাকে মানুষের সেবা দেওয়ার সুযোগ না দিলে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে চলে যাব। তাহলে হয়তো দূর থেকেই কাজ করতে হবে। আমার ডাক্তার টিমের সদস্যরা নির্দে'শনা অনুযায়ী মাঠে কাজ করবেন।

আ'ফসো'স করে ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার বলেন, ভালো কাজের পদে পদে বা'ধা আসে। আমার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমি আসছি কাজ করতে, আমি ভালোবাসা দিয়েই জয় করবো সবাইকে। আমি বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বেচ্ছায় কাজ করতে এসেছি। ব্যবসা করতে নয়। যদি কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়; তাহলেই কাজ করবো, নইলে চলে যাব। আমি তো কোনো সময় বলেনি যে এখানে থেকে যাব। আমার পরিবারের সবাই আমেরিকা থাকে। আমি এমপি-মন্ত্রী হতে আর রাজনীতি করতে আসিনি। আসছি এদেশের মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য, জন্মভূমির বি'পদে পাশে থাকার জন্য। আমার এই আসাটাকে কিছু মানুষ হয়তো ভালোভাবে নেয়নি। কি কারণে নেয়নি আমি জানি না। আমার কাছে মাটির যে ঋণ, সেই ঋণ শো'ধ করতে এসেছি। মাটির ঋণ যদি একটুও শো'ধ করতে পারি আমার নিজের আত্মা শান্তি পাবে। আমি আমার দায়িত্ব বোধ থেকে এসেছি।''
 
ফেরদৌস খন্দকার বলেন, আমরা যদি কিছু কু'চ'ক্রি মানুষগুলোর জন্য ছেড়ে চলে যাই। তাহলে আমাদের নেত্রীর হাত দু'র্ব'ল হবে, যারা এমন মি'থ্যা'চার করছে তারাই খন্দকার মোস্তাকের দো'সর। তারা আমার নেত্রীর হাতকে দু'র্ব'ল করে দিয়ে খন্দকার মোস্তাকের কাজ করছে। আমাদের সবাইকে চ্যালে'ঞ্জ নিতে হবে, ছেড়ে যাওয়া যাবে না। দেখুন, আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, কখনও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি। যখন যুক্তরাষ্ট্রে আমি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত হতে থাকলাম, তখন থেকেই বুঝতে পারলাম, আমাকে কেউ কেউ রাজনীতির মাঠে মেনে নিতে পারছে না।

তিনি বলেন, আমার ধা'রণা সেই নিউইয়র্ক থেকে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপসহ স্বাধীনতাবিরো'ধী চ'ক্রও আমার বি'রু'দ্ধে অ'পপ্রচারে মাঠে নেমেছে। সেই গ্রুপের প্ররো'চণায় বাংলাদেশের একজন শ্রদ্ধাভাজন মানুষের ফেসবুক আইডিতে আমার বি'রু'দ্ধে অ'পপ্র'চারটি শুরু হয়। এরপর না বুঝেই গু'জবটি ভাই'রাল হয়। শেষ পর্যন্ত গু'জবকে বিতা'রিত করে সত্যটি উন্মো'চিত হয়। গু'জবকারীরা অনেকেই ল'জ্জায় অ'নুত'প্তও হয়। তবে এই মি'থ্যা'চার আর গু'জবের বি'রু'দ্ধে রু'খে দাঁড়িয়েছিল আমার ছাত্রলীগের ভাইয়েরা, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের লাখ লাখ মানুষ। আমি ওইসব মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ, তাদেরও ঋণ আমি কোনোদিন শো'ধ করতে পারবো না।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে