সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০, ১০:১১:০৪

সেশনজটের চিন্তা নয়, জীবন বাঁ'চানোই এখন গুরুত্বপূর্ণ: আরেফিন সিদ্দিক

সেশনজটের চিন্তা নয়, জীবন বাঁ'চানোই এখন গুরুত্বপূর্ণ: আরেফিন সিদ্দিক

নিউজ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, সারা বিশ্ব থ'মকে গেছে মহামা'রী করোনাভাইরাসের কারণে। বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী হয়তো এই ভেবে চিন্তা করছেন যে তারা সেশনজটে পড়ে গেলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে সেশনজটের চিন্তা নয় বরং জীবন বাঁ'চানোই গুরুত্বপূর্ণ। 

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ শিক্ষাবিদ আরও বলেন, উচ্চশিক্ষা স্তরে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বলা যায়, একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রম একেবারেই থমকে আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভাগভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা কম। সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হবে। যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর প'রিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে তাদের কারিকুলাম শেষ করতে পারে। 

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই টাকা খরচ করে ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনতে পারছেন না। তিনি আরও বলেন, অনেক এলাকায় ইন্টারনেট সাপোর্ট সেভাবে নেই। কিন্তু যতদূর এগোনো যায় ততদূরই এগোতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমে সুফল পাচ্ছি। কীভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম বাড়ানো যায় সেটি বিবেচনা করতে হবে। 

সেক্ষেত্রে সরকারের তথ্য বাতায়ন, ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারসহ সরকারি নানা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিতে পারে শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ ও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নেই। তাই অনলাইন ক্লাস করতে না পেরে কোনো ছাত্রছাত্রী যেন আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো দু'র্ঘটনার সৃষ্টি না করেন। 

তিনি বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ও সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাস প'রিস্থিতি আরও বাড়তে থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম কীভাবে চালিয়ে নেওয়া যায়, সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাসের সং'ক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। মৃ'ত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই এ প'রিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প'রিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্রমে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া যেতে পারে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে