নিউজ ডেস্ক : কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১০৯তম জন্মদিন আজ শনিবার (২০ জুন)। ১৯১১ সালের এই দিনে বরিশালের শায়েস্তাবাদে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি। বাংলার প্রতিটি আ'ন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার আপোসহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর সুফিয়া কামাল পরিবারসহ কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ভাষা আ'ন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং এই আ'ন্দোলনে নারীদের উ'দ্বুদ্ধ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন।
পাকিস্তান সরকার ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র সংগীত নি'ষিদ্ধের প্র'তিবাদে সংগঠিত আ'ন্দোলনে তিনি জড়িত ছিলেন এবং ছায়ানটের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে মহিলা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং গণঅভ্যু'ত্থানে অংশ নেন।
১৯৭০ সালে তিনি মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে অসহযোগ আ'ন্দোলনে নারীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযু'দ্ধের সময় তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে মুক্তিযো'দ্ধাদের সহায়তা দেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও নারীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ কারফিউ উপেক্ষা করে নীরব শোভাযাত্রা বের করেন। সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরু'দ্ধে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। প্রতিটি প্রগতিশীল আ'ন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তিনি।
সাঁঝের মায়া, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। এছাড়া সোভিয়েতের দিনগুলি এবং একাত্তরের ডায়েরী তার অন্যতম ভ্রমণ ও স্মৃতিগ্রন্থ।
সুফিয়া কামাল দেশ-বিদেশের ৫০টিরও বেশি পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সোভিয়েত লেনিন পদক, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পদক। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর তিনি মা'রা যান। খবর বাসস।