শুক্রবার, ০১ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৬:৪৮:৫৯

উপরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট!

উপরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট!

নিউজ ডেস্ক : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই নিয়ে নাটকীয়তা কম হয়নি। এবারো এর ব্যত্যয় ঘটেনি। এমন অভিযোগ অভিভাবকদের। তাদের মতে, আলোর নিচে যেন অন্ধকার। রঙবেরঙের প্রচ্ছদের নিচে লুকিয়ে আছে ভূত। উপরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট এমনই অবস্থা। অভিভাবকদের অভিযোগ, কাগজ ও ছাপা এতোটাই নিম্নমানের, যা নিউজপ্রিন্টকেও হার মানাবে। ছোট ছোট বাচ্চারা এরকম বই দিয়ে কীভাবে এক বছর পড়াশোনা করবে? অবশ্য নির্দিষ্ট সময়ে হাতে বই পেয়ে উৎফুল্ল প্রাথমিকের বাচারা। আজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় প্রাথমিকের বই। চতুর্থ শ্রেণির আমার বাংলা ও প্রাথমিক বিজ্ঞান বই দুটিতে দেখা গেল, এক পৃষ্ঠায় ছাপানো ছবি অন্য পৃষ্ঠায় ছড়ানো। এতে করে ওই পৃষ্ঠার লেখাগুলো আর ভালোভাবে পড়া যাচ্ছে না। প্রতিটি বইয়ের মলাট ও বাইন্ডিং থাকলেও আসল জায়গায় বড় সমস্যা। কাগজ আর ছাপার মানের সঙ্গে মলাট একেবারেই বেমানান। প্রাথমিকের ছোট ছোট বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে বইগুলো চার রঙে রাঙিয়ে আকর্ষণীয় করতে চেয়েছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবোর্ড (এনসিটিবি)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রঙ ছড়িয়ে ছাপা লেখাই যেন মুছে যাওয়ার উপক্রম। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের প্রাথমিক, এবতেদায়ি ও মাধ্যমিকের প্রায় ৩৫ কোটি বই ছপানোর জন্য ২৯৮ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল। পরে টেন্ডাররের মাধ্যমে ৯৪ কোটি টাকা কমিয়ে ১৯৮ কোটি টাকা করা হয়। কাজটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়। এ নিয়ে জোরালো আপত্তি তুলেছিল দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। পাঠ্যবইয়ের মান উন্নত করতে কিছু শর্তও নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু টেন্ডারের নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তি স্বাক্ষরের পর খরচ বাড়ানোর সুযোগ না থাকায় তা আর কার্যকর হয়নি। শুক্রবার সকালে ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ে প্রাথমিকের বই উৎসব আয়োজন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। ১জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে