নিউজ ডেস্ক : আগের এলসির বিপরীতে গত রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজ রফতানির অনুম'তি দিতে পারে ভারত। গতকাল বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে বলে বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পেঁয়াজ আসার খবরে একদিনের ব্যবধানে হিলির পাইকারি বাজারে দাম কমেছে কেজিতে ১০-২০ টাকা। অপরদিকে পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকির দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। গত সোমবার অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সং'কট ও মূল্যবৃ'দ্ধির অজুহাত দেখিয়ে হ'ঠাৎ করেই ভারত পেঁয়াজ রফতানি ব'ন্ধ করে দেয়। এর ফলে ওইদিন বন্দর দিয়ে কোনও পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
হিলি স্থলবন্দরের আড়তগুলোতে পেঁয়াজ কিনতে আসা খালেক হোসেন বলেন, সোমবার ভারত যেই পেঁয়াজ রফতানি ব'ন্ধ করে দিলো, তখন দাম লা'ফিয়ে বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়াতে থাকে, আগের দিন যে পেঁয়াজ আমরা ৩৫ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে গেছি, পরদিন তা বেড়ে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা হয়ে যায়। এমনকি পেঁয়াজ বিক্রির কোনও রিসিটও দিচ্ছিলো না। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় যেন পেঁয়াজের দাম বাড়ছিলো। পেঁয়াজ কিনতে এসে বিপাকের মধ্যে পড়ি। আজ আবার পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি দাম কিছুটা কমেছে। শুনলাম পেঁয়াজ নাকি আজকে বন্দর দিয়ে ঢুকবে এই খবরেই দাম কমে গেছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে আড়তগুলোতে ভালোমানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫২ থেকে ৬০ টাকা, একটু খারাপ মানেরটা ৪০ টাকা দরে ও খুচরাতে ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।