শনিবার, ০২ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৮:৫৫:০৪

খালেদাকে লাইক দিলেন না মির্জা ফখরুল!

খালেদাকে লাইক দিলেন না মির্জা ফখরুল!

নিউজ ডেস্ক : মামলা-হামলা, জেল-জুলুম সহ্য করে দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারি হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ফেসবুক পেইজে লাইক দেননি দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দলের সবার নাম ধরে প্রসংশা করলেও দলটির মহাসচিবের নাম একবারও উল্লেখ করেননি খালেদা জিয়া। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেতাকর্মীরা। বিগত কয়েক বছরে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে এরই মধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন মির্জা ফখরুল। শুধু নিজ দলই নয়, অন্য দল ও ব্যক্তির কাছেও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু নিজ দলের চেয়ারপারসনের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তার এ নিয়ে ধোঁয়াশায় ভরা- এমন প্রশ্ন অনেকের। শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রদলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ছাত্র সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পৌনে এক ঘণ্টার বক্তব্যে তেমনটা লক্ষ্য করা যায়নি। অনুষ্ঠানে তিনি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নানা নির্দেশনা এবং সংগঠনটিকে নিয়ে আশা ও পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে ছাত্রদলের স্লোগানে নতুনত্ব না থাকায় প্রশ্ন তুলেন তিনি। দলের নেতাকর্মীদের চিকিৎসা সেবায় সব সময় সচেষ্ট থাকা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের প্রশংসা করেন খালেদা জিয়া। দলীয় প্রধানের মুখে এরকম প্রসংসা শুনে দর্শক সারির সামনে থাকা জাহিদ মাথা নিচু করে ছিলেন। আইনজীবীদের প্রশংসা করতেও ভুলেননি খালেদা জিয়া। তিনি যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার নাম উল্লেখ করেন। গ্যালারির দ্বিতীয় সারিতে বসা সানাউল্লাহ মিয়ার প্রশংসা না করায় কিছুটা গম্ভীর দেখা গেছে। অবশ্য পরে নিজের নাম শুনতে পেয়ে স্মিত হাসি হাসেন সানাউল্লাহ মিয়া। ছাত্রদলে যাদের জায়গা হবে না তাদের অন্যান্য জায়গায় মূল্যায়ন করা হবে আশ্বাস দেন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসন যখন নেতাদের নাম ধরে কথা বলছিলেন তখন হলরুমজুড়ে করতালির ধুম পড়ে যায়। ব্যারিস্টার মওদুদ, আব্বাস, খোকার নাম না বললেও মির্জা ফখরুলের নাম না বলায় একটা চাপা অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে হলরুমে। দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারি, সর্বজনে যার বিপুল গ্রহণযোগ্যতা, রাজনীতির মাঠে অগ্নিপরীক্ষক মির্জা ফখরুল নেত্রীর আস্থাভাজন হতে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই বিস্মিত ও অসন্তুষ্ট করেছে দলীয় নেতাকর্মীদের। অনেককে এমন কথাও বলতে শোনা গেছে। ২ জানুয়ারি,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে