সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০, ০১:৫৩:৪০

অভিনেত্রীর বিয়ে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য জঘন্য মানসিকতার পরিচয়: পীর হাবিবুর রহমান

অভিনেত্রীর বিয়ে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য জঘন্য মানসিকতার পরিচয়: পীর হাবিবুর রহমান

পীর হাবিবুর রহমান: মানুষের রান্না ঘরে উঁকি দেওয়া মানুষের বিকৃত রুচি। একজন অভিনেত্রীর বিয়ে নিয়ে আলোচনা হবে স্বাভাবিক। তাই বলে নেতিবাচক মন্তব্য জঘন্য মানসিকতার পরিচয়। প্রতিটি মানুষেরই সুখী হবার অধিকার যেমন আছে। তেমনি তার ফেসবুকে ছবি আর মিথ্যামায়া কা'ন্নার নাটক না করে ডিভোর্সে গিয়ে বিয়ে করার অধিকারও রাখে। বিশ্বাসঘা'তকতা প্রতারণার কুৎসিত অসহনীয় ঝগ'ড়াটে জীবনের চেয়ে নতুন নির্লোভ জীবন উত্তম। মর্যাদার প্রতিটি মানুষ সুখী জীবন চায়। ঘর ভে'ঙে ঘরবাঁধা কেউ চায় না। কিন্ত নীতিগত বিরোধসহ নানা ঘ'টনায় অহরহ ভা'ঙছে। নতুন জীবন গড়ছে। স্বাগত জানানোর অধিকার আছে বি'দ্রুপ করার অধিকার নেই। 

শমী কায়সারের বিয়েতে অভিনন্দন জানাই। আমাদের সমাজে রুচির মানসিকতার দৈন্যতায় কেউ কেউ এক সাথে চলেও বলেন, আহারে ছেলেটি এতো স্মার্ট, চৌকস কখনো বা হ্যান্ডসাম, কিন্ত বউটি বড় সাধারণ, তার সাথে মানায় না। হিং'সার কতো নমুনা। আবার কেউ বলেন বউটি কী রূপবতী, বরটি তেমন নয়। হিং'সার অনলে নিজেরা পুড়েন। যারা জীবন কাটায় তারা আনন্দেই থাকে।

আজব এক সমাজে বাস করি আমরা যেখানে রাস্তার গুলি খেয়ে মরা সন্ত্রা'সী সমাজবিরোধী মুরগি মিলন অনেকের আইডল, কারো বা শতকোটি কামানো ড্রাইভার মালেক। পিকে হালদাররাতো তাদের স্বপ্নের নায়ক। লোভের বিষে বিষা'ক্ত সমাজে লোভের ফনা তুলে একদল যেনতেন পথে টাকা চায়, অর্থ, সম্পদ চায়। স্টেটাস কিনে যারতার সাথে চলে ধন্য করে জীবন। আহারে কাঁচা টাকার মালিক কিন্তু সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যে ডাল-ভাতের মর্যাদার সৎ জীবন পার করে শান্তিতে এটাই বিশ্বাস করে না।

মূল্যবোধহীন নষ্ট সমাজে এইসব নির্দয় লোভীদের আদর্শ বলে কিছু নেই, আছে চরম হিংসা আর সবাইকে জ্ঞানহীন, মেধাহীন ভেবে বিকৃত রুচিহীন সমাজে বাস করা। ভালো মানুষদের ভালো থাকায় তাদের কলিজা পুড়ে, নিজে মানসিক দারিদ্রতার জন্য সেই ভালোটুকুও থাকতে পারে না। কেবল পারে গসিপে ডুবে অন্যের আলোচনা গিবতে পেরেশান হতে। এরা কী সুখ পায়। রাষ্ট্র, সমাজ, সংস্কৃতি, শিল্প, সাহিত্য তাদের ঘরে বা আড্ডায় জায়গা পায় না। এদের জন্য করুনা হয়। এরা বদলাবে না। 

সমাজকে অসুন্দর করতেই তারা বদলায় না। যেমন, আয়নায় কুৎসিত চেহারাটা দেখার সময় পায় না, অন্যের রান্নাঘরে উঁকি দিতে দিতে। শরীর জুড়ে অনেকেরই এদের অসৎ টাকার পোষাক, প্রসাধনী। তাও অন্যেরটা দেখে হিং'সায় পুড়ে খুঁত ধরে। পোশাকে হেরে গেলে বলে ফিগারে সমস্যা। কী হীনমন্যতা। এখানে কারো নামে বিরুপ মন্তব্য করবেন না। ফেসবুক থেকে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে