বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৯:১১:৪৩

আগামী মাসেই করোনা ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ বাংলাদেশে আসবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগামী মাসেই করোনা ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ বাংলাদেশে আসবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : আগামী মাসেই অর্থ্যাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে বা ফেব্রুয়ারির প্রথমে করোনার ভ্যাকসিন (অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন) বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ২৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে একথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন আনার সব ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন, শুধু আমাদের অপেক্ষা, ভ্যাকসিনটা তৈরি হওয়া ও অনুমোদন পাওয়া। করোনা নিয়ন্ত্রণে পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, এর পেছনে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদান রয়েছে। তাদের কারণে করোনা চিকিৎসায় স্বাস্থ্যসেবা দিতে সফল হয়েছি, আমরা নিয়ন্ত্রণেও রাখতে পেরেছি। পৃথিবীর কাছে তা একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তিনি বলেন, যখন এখানে করোনা শুরু হয় তখন এ বিষয়ে কারো জানা ছিল না। কীভাবে এটা আক্রান্ত হয়, কী এটার চিকিৎসা এ বিষয়ে কারো জানা ছিল না। আপনারা জানেন প্রথমে আমাদের এখানে ভেন্টিলেটর নিয়ে তুলকালাম অবস্থা। টেলিভিশনে ডেইলি এটা নিয়ে আলোচনা। পরে দেখা গেল, ভেন্টিলেটর থেকে বেশি প্রয়োজন হলো হাইফ্লো নেজাল কেনোলা। অক্সিজেনের বেশি দরকার। কাজেই প্রথমে চিকিৎসা পদ্ধতিও বিশ্বে ভালো ইস্টাবলিস্ট ছিল না। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মেডিসিন সোসাইটি ও অন্যান্য সোসাইটি তারা চেষ্টা করে একটা মেডিকেল প্রটোকল তৈরি করেছে। তারা সহযোগিতা করে দ্রুত ট্রিটমেন্ট প্রটোকল তৈরি করেছেন। ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। তারপরে সারা বাংলাদেশে ভালো করে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। আমাদের তখন হাসপাতাল গুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল না। দেশে কোনো পিপিই ছিল না।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বে কোথাও ছিল না। একটি মাত্র ল্যাব নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। কিন্তু আজকে তার পরিবর্তন হয়েছে। আজকে আপনারা জানেন ১১০টি ল্যাবে টেস্ট করা হচ্ছে। প্রতিটি হাসপাতালে আলাদা বেড করা হয়েছে। আমাদের ডাক্তাররা একই হাসপাতালে দুই ধরনের চিকিৎসা দিচ্ছেন। আপনারাতো জানেন একটি হার্টের বা ক্যান্সারের রোগীকে চিকিৎসা দিতে কেউ ভয় পায় না, কোনো সমস্যা নাই। 

বৈশ্বিক করোনা প্রসঙ্গ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে ডাক্তাররা ভালো কাজ করেছে বিধায় দেশের অর্থনীতি ভালো আছে। অর্থনীতি প্লাসে আছে এটা আপনাদের অবদান, ডাক্তারদের অবদান। দেশের কোনো লোক চাকরিচ্যুতি হয়নি। দোকান পাট চলছে। আর যে দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে নাই সব বন্ধ হয়ে গেছে। সব লকডাউনে চলে গেছে, পুরা ইউরোপ লকডাউনে চলে গেছে। দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। করোনা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে এটা হতো না।

জাহিদ মালেক বলেন, 'দ্বিতীয় ওয়েভের কথা আপনার জানেন, ইউরোপ আমেরিকাতে শুরু হয়ে গেছে। আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাচ্ছি। অলরেডি এয়ারপোর্টে ব্যবস্থা নিয়েছি। সে বিষয়ে এখন কার্যক্রম চলছে।' স্বাচিপের ওই অনুষ্ঠানের বাংলাদেশে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসকরা, আওয়ামী লীগের জনস্বাস্থ্য উপ কমিটির নেতারাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের চিকৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে