নিউজ ডেস্ক : টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা। অন্যদিকে বিরোধী দলের সদস্যরা অর্থ পাচার ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সাধারণ আলোচনাকালে একে অপরের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে আলোচনায় অংশ নেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের সুবিদ আলী ভুইয়া, দবিরুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আব্দুস সালাম মুর্শেদী এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান ও অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্রুত অগ্রসরমাণ বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই উন্নত দেশে পৌঁছে যাবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে জনবান্ধব জনপ্রশাসন গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। প্রথমবারের মতো দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শতবর্ষী বদ্বীপ পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনায় তৃণমূল জনগোষ্ঠীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
করোনার টিকা নিয়ে সমালোচনার জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, অনেকেই বলেছিলেন সরকার টিকা আনতে পারবে না। টিকা আসার পর এখন তারা বলছেন, এগুলো কি ভালো? আসলে সরকারের কোনো ভালো কাজই তাদের চোখে পড়ে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দুর্বারগতিতে এগিয়ে চলেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গৃহহীনরা আশ্রয় খুঁজে পাচ্ছে। ন্নয়ন-অগ্রগতিতে দেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। এ কারণে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। এই ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার থাকতে হবে।
বিদেশে টাকা পাচার ও লুটপাটকারীদের পরিচয় জাতীয় সংসদে তুলে ধরার দাবি জানান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, লুটেরা কারা? এরা কি দলে? সরকারে না আশেপাশে? এদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাই। দেশে ধনীদের আয় যেভাবে বাড়ছে, দরিদ্রদের আয় সেভাবে বাড়ছে না। ফলে আয় ব্যবধান তৈরি হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ দরিদ্র। প্রায় দুই কোটি অতিদরিদ্র রয়েছে।
বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির বড় অভিযোগ উঠেছে দাবি করে ফখরুল ইমাম বলেন, চীনের সঙ্গে ২৭টি সমঝোতা স্মারকে সাড়ে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে। বাস্তবে এর সামান্য বাংলাদেশে এসেছে। কত এসেছে, তা জানতে চাই। এখন শোনা যাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা ব্যবহার করা হবে না। তাহলে এতদিন আন্দোলন চলল কেন? এর অর্থদণ্ড কত?