শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ০৬:৪৩:২৯

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জাতিসংঘের মহাসচিবের কঠোর হুশিয়ারি

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জাতিসংঘের মহাসচিবের কঠোর হুশিয়ারি

নিউজ ডেস্ক : সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস নিজে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকে। এ সময় মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হাতে আটক বিভিন্ন বেসামরিক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করেছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয় জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, আমাদের বিশেষ দূত সুইস কূটনীতিক ক্রিস্টিন শ্রানের বার্গেনারের সাথে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দেশটির সামরিক বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডারকে এ অভ্যুত্থান নিয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন। 

কঠোর হুশিয়ারি নিয়ে জাতিসংঘ প্রধান আরো বলেন, ''অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা উল্টে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে সবটুকু করব।'' গত সোমবার ভোরে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, আইনপ্রণেতা ও রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। 

এরপর থেকে নতুন নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে আসছে সামরিক সরকার। সু চিকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা। রাজধানী নাইপিদো, ইয়াঙ্গুনসহ ছোট বড় অনেক শহরে নানাভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ। চিকিৎসকদের পাশাপাশি জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ইয়াঙ্গুনের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আন্দোলনে নতুন করে যোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এক শিক্ষার্থী বলেন, কোন স্বৈরাশাসকের অধীনে আমরা থাকব না। আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকিতে ফেলে দিতে পারি না।' যে কোনো সহিংসতা মোকাবিলায় রাস্তায় কঠোর অবস্থানে সেনা সদস্যরা। ভারী অস্ত্র নিয়ে পথে পথে টহল দিতে দেখা গেছে তাদের। কাউকে সন্দেহ হলে তল্লাশি করছে সেনারা। সামরিক শাসনের মেয়াদ এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর অতিরিক্ত ৬ মাস থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে জান্তা সরকার।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে