মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই চার সংগঠন হলো গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাকি, ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং রাষ্ট্রচিন্তার হাসনাত কাইয়ুম। একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একসঙ্গে পালনের ঘোষণা দিয়েছে চারটি সংগঠন।
চার সংগঠনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-১ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুবর্ণজয়ন্তী সমাবেশ, ২৬ মার্চ স্ব স্ব সংগঠনের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালন, ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস পালন। এছাড়াও দেশব্যাপী বছরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা গণমানুষের রাজনীতি বাংলাদেশে গড়ে তুলতে চাই। তারই অংশ হিসেবে একসঙ্গে কিছু কাজ করছি। গণমানুষের রাজনীতি এগিয়ে নিয়ে জনগণের নিজস্বতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই প্রক্রিয়ায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা হচ্ছে ঐক্যের ভিত্তি। আপাতত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাই লক্ষ্য।
নুরুল হক নুর বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। এই যাত্রা চলমান থাকবে। এই চিন্তার সঙ্গে কেউ যুক্ত হতে চাইলে তাদের আহ্বান জানাই।
নঈম জাহাঙ্গীর বলেন, সরকারের দেশ পরিচালনার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স পূরণ করে ভোটের নামে নজিরবিহীন প্রহসন করা হয়েছে। সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সক্ষম একটি অন্তবর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।