স্পোর্টস ডেস্ক : বাবর আজমকে কেউ কেউ ‘ফেবুলাস ফোর’ দলে ঢুকিয়ে ‘ফেবুলাস ফাইভ’ বানানোর পক্ষপাতী। ফেবুলাস ফোর বলতে কী বোঝানো হয়েছে তা নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন? ওই যে বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথ, জো রুট ও কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে প্রজন্মসেরা ব্যাটারদের যে তালিকা। সেই দলে ঢোকার আবেদন মাঝে মাঝেই তৈরি করেন পাকিস্তানি ব্যাটার।
এই বাবরের ফর্ম কতটা খারাপ গেলে পাকিস্তান তাকে একাদশ থেকে বাদ দিতে পেরে? মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়ার আগের ৯ ম্যাচে তার পারফরম্যান্স ছিল খুবই দৃষ্টিকটু। ১৮ ইনিংসে ব্যাট করে একবারও অর্ধশত রান করতে পারেননি তিনি। এরপর কঠিন সিদ্ধান্তই নিতে বাধ্য হয় পিসিবি। দলের সবচেয়ে বড় তারকা হওয়া সত্ত্বেও ফর্মহীনতায় তারা বাবর আজমকে একাদশ থেকে ছেঁটে ফেলে।
বাবরের জায়গায় ডাক পেয়েই সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের জয়ে বড় অবদান রাখেন কামরান গুলাম। পাকিস্তান পরের ম্যাচও বগলদাবা তরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে যায়। কামরান গুলামের একাদশে জায়গাটা এরপর পাকা হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজেও খেলছেন তিনি। এই সিরিজ দিয়ে একাদশে ফিরেছেন বাবরও।
সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে কামরান গুলাম থাকায় নিজের পছন্দের পজিশন ছেড়ে ৩ নম্বরে ব্যাট করতে হয়েছে বাবরকে। চলমান এই ম্যাচে ৪ রান করে ডেন পেটারসনের ওভারে আউট হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক। তাতেই ঢুকে গেছেন দারুণ এক ক্লাবে, সব ফরম্যাটে ৪ হাজারি রানের ক্লাব।
টেস্টে ৪ হাজার রান পূর্ণ হওয়ার জন্য মাত্র ৩ রান দরকার ছিল বাবরের। কোরবিন বোসকে চার মেরে সেই ক্লাবে ঢুকেন তিনি। তিন ফরম্যাটে ৪ হাজার রানের এই ক্লাবে প্রবেশ করাদের মধ্যে বাবর বিশ্বের তৃতীয় ক্রিকেটার। ২০২২ সালে দরজাটা খুলেছিলেন বিরাট কোহলি। টেস্টে ৯ হাজার ১৬৬, ওয়ানডেতে ১৩ হাজার ৯০৬ ও টি-টোয়েন্টিতে ৪ হাজার ১৮৮ রান তার নামের পাশে। এ বছরের জুনে কোহলিকে অনুসরণ করেন রোহিত শর্মা। টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কের টেস্টে ৪ হাজার ২৯০, ওয়ানডেতে ১০ হাজার ৮৬৬ ও টি-টোয়েন্টিতে ৪ হাজার ২৩১ রান রয়েছে।