নিউজ ডেস্ক : ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা, কিন্তু ক্রেতা সংকট। করোনাকালে এমন অবস্থা বিরাজ করছে মার্কেটগুলোতে। এরইমধ্যে ঋণের কিস্তি পরিশোধের নির্দেশনা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে ব্যবসায়ীদের। করোনার ধাক্কা সামলিয়ে উঠতে ঋণ পরিশোধে আরো সময় বাড়ানোর দাবি তাদের। পরিস্থিতি বিবেচনায় একই মত অর্থনীতিবিদদের।
করোনার প্রভাব গত বছরে বিপণীবিতানসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কয়েক মাস বন্ধের থাকার পর সীমিত করা হয় জনসমাগম। এতে বেচাকেনা কম হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যবসায়ীরা। এমন অবস্থায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধে কিস্তি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে দৈনন্দিন কার্যক্রমে বর্তমানে গতি আসায় প্রায় ৯ মাস পর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ঋণ পরিশোধের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে স্বস্তিতে রয়েছে ব্যাংকগুলো।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, করোনার সময়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েন। তবে সেসময়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধে কিস্তি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার সেই নির্দেশনা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ নির্দেশনায় লোকসান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, যেহেতু আমরা দুমাস আড়াইমাস দোকান খুলতে পারেনি। এছাড়াও ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরে ব্যবসা করতে পারেনি। সেজন্য ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা আমাদের জন্য খুবই কঠিন হবে। এমন অবস্থায় ঋণ পরিশোধে ব্যবসায়ীদের আরও সময় দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
অর্থনীতিবিদ ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, এ সময়ে ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। তাদেরকে (ব্যবসায়ী) আরও ২-৩ মাস সময়ে দেওয়া দরকার ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। তিন দফায় বাড়িয়ে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধে নিষেধাজ্ঞা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।