শনিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:০৫:৫০

টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া মানে হেফাজত, বাংলাদেশ মানে হেফাজত: মামুনুল হক

টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া মানে হেফাজত, বাংলাদেশ মানে হেফাজত: মামুনুল হক

নিউজ ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন- ‘ভয় দেখিয়ে হেফাজতকে দমিয়ে রাখা যাবে না। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া মানে হেফাজত, বাংলাদেশ মানে হেফাজত। ২০টি মায়ের বুক খালি হলো। আইজিপি আপনাকে তো শোক প্রকাশ করতে দেখলাম না। কারণ তারা তো মানুষ নয়, হেফাজত।’

মামুনুল হক বলেন- ‘যখনই দেশের বিরুদ্ধে, ঈমান-আকিদার বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হবে তখনই হেফাজত কারো রক্তচক্ষু পরোয়া না করে রাজপথে নেমে আসবে। হেফাজত কারও তল্পিবাহক নয়। কিন্তু মনঃপূত না হলেই তাদের কাছে হেফাজত ‘আজ বিএনপির কাল জামায়াতের’ হয়ে যায়। এটা ঠিক নয়। আজ শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এদিকে, সভাপতির বক্তব্যে হেফাজতের ঢাকা মহানগরের সভাপতি কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জোনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী রাতে তল্লাশি করে। যাদের ভাই জীবন দিয়েছে তারাই রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারেন না। জামেয়া ইসলামীয়াতে যেই মুক্তাদির চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে হামলা হলো, তাকে গ্রেপ্তার করা হলো না। মুক্তাদির চৌধুরী খুনি। তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন- ‘করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে গত বছর মসজিদে ভালো করে নামাজ পড়তে দেননি। আবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। করোনার অজুহাতে মাদরাসা বন্ধের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যদি এমন পাঁয়তারা করেন তাহলে মাঠে নেমে আসবে হেফাজত। ভুল করেও মসজিদ-মাদরাসা বন্ধের চেষ্টা করবেন না।’

বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতের অর্থ সম্পাদক মাওলানা মনির হোসেন কাসেমী বলেন, ‘ভালোয় ভালোয় ছাত্রলীগকে সামলান। ওরাই আপনার (প্রধানমন্ত্রী) মসনদ নাড়িয়ে দেবে। জনগণের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে মোদিতে এত মধু কেন? টাঙ্গাইলের পীরের ওপর হকিস্টিকের আঘাত কত তেতো, সময় হলে বুঝবেন।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে