এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে কবরে শোয়ানোর পর মাটি দিয়ে কান্না ভেঙে পড়লেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে জাতীয় কবির পাশে হাদিকে সমাহিত করা হয়।
কবরে মাটি দেওয়ার সময় তিনি বাষ্পরুদ্ধ হয়ে পড়েন হাসনাত। কাঁদতে কাঁদতে পাশের একটি ইটের দেয়ালে বসে পড়েন তিনি। কান্নার কারণে তিনি কথাই বলতে পারছিলেন না।
এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। দুপুর ২টা ৩৩ মিনিটে অনুষ্ঠিত জানাজায় সারা দেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষের উপস্থিত হন।
কয়েক লাখ মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, এটাই স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জানাজা। জানাজায় অংশগ্রহণকারী অনেকেই বলছেন, শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন।
৬৫ বছর বয়সী ধানমন্ডির বাসিন্দা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমার জীবনে অনেক জানাজায় অংশ নিয়েছি। কিন্তু এত বড় জানাজা দেখিনি। শহীদ হাদি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। এ কারণে এত মানুষ জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
মিরপুর-১ নম্বরের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, আমার ৪২ বছরের জীবনে এত বড় জানাজা দেখিনি। আমার ধারণা ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষ জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
জানাজা শেষে বিকেল ৩টার দিকে হাদির মরদেহ বহনকারী গাড়ি ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায় নিয়ে আসা হয়। হাদির জানাজার নামাজ পড়ান তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় পুরো এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।