নিউজ ডেস্ক: শীতলক্ষ্যায় সলিল সমাধি হওয়া ২৯ জনের স্বজনদের মুখেই ছিল নানা নিদারুণ কাহিনী। কেউ আবার শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে চোখের পানিতেই বয়ান করে দিচ্ছিলেন অনেক কিছুই। শোকে বিহ্বল এসব কাহিনী যেন লক্ষ্যাপাড়ে সৃষ্টি করেছিল এক আর্তনাদ আর হারানোর উপাখ্যান।
লঞ্চডুবিতে কান্নাই যেন চিরসাথী হয়ে গেল ১৩ বছর বয়সী মাহিনের। নিজের বাবা আর মায়ের লাশ দেখেও সেদিকে যেন খেয়ালই ছিল না তার। খুঁজে ফিরছিল আদরের ছোট্ট বোন মানসুরাকে। শেষতক পরিবারের সবার লাশ একসঙ্গে দেখে নির্বাক মাহিন কি বলবে তাও যেন বুঝে উঠতে পারছিল না।
হঠাৎ ছোট্ট এই কিশোরের বুক ফাটা চিৎকারে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন আশপাশের সবাই।
লঞ্চডুবির এই ঘটনায় বাবা আনোয়ার শেখ (৩৫), মা মাকসুদা (৩০) ও আট ৭ বছর বয়সী ছোট বোন মানসুরাকে হারিয়েছে মাহিন। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মাহিন থাকত রাজধানীর শনির আখড়ায়। আনোয়ার শেখ ছিলেন ক্ষুদ্র কাঁচামাল ব্যবসায়ী।
কাঁদতে কাঁদতে মাহিন বলছিল, নানা বাড়ি যাচ্ছিলেন তারা। একদিন পরই ফেরার কথা ছিল বাবা-মায়ের। তারা ফিরলেন ঠিকই কিন্তু লাশ হয়ে।
রোববার সন্ধ্যার কিছু আগে এসকেএল-৩ নামের একটি কোস্টার জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্তত ২০০ মিটার লঞ্চটিকে টেনে নিয়ে যায়। এরপর লঞ্চটি যাত্রীসহ ডুবে যায়। আশপাশে কোনো নৌকা না থাকায় অনেকেই রক্ষা পাননি।